সিরিজ জেতার প্রস্তুতির মাঝে উঁকি দিচ্ছে রোহিত শর্মার নতুন রেকর্ডেরও। কটকে আর ৯ রান করলেই রোহিত ভেঙে দেবেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার সনৎ জয়সূর্যের রেকর্ডও। ১৯৯৭ সালে ওপেনার হিসেবে সব ধরনের ক্রিকেটে জয়সূর্য করেছিলেন ২,৩৮৭ রান। চলতি বছরে রোহিতের সংগ্রহ ২,৩৭৯ রান।
রোহিতের নতুন রেকর্ডের স্বপ্নের মাঝে আরও এক প্রত্যাশা উঁকি মারছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। তা হল, বারাবাটিতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির বড় রান পাওয়া। এ পর্যন্ত বারাবাটিতে ৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বিরাটের রান মাত্র ৩৪। ওড়িশার এই স্টেডিয়ামে কোহালি তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে করেছেন ৩, ২২ ও ১ রান। আর একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোহালির রান ৮। পাশাপাশি, চলতি ওয়ান ডে সিরিজেও চেন্নাই ও বিশাখাপত্তনমে বড় রান পাননি বিরাট। দুই ম্যাচে কোহালির রান যথাক্রমে ৪ ও ০।
বারাবাটিতে তাই বিরাটের বড় রান দেখার জন্য ভক্তদের যেমন আকুল প্রার্থনা রয়েছে, তেমনই কোহালিও সমান ভাবে অপেক্ষারত দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে ভারতকে ওয়ান ডে সিরিজ জেতাতে। শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল ভারতীয় দলের। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোহালিকে দীর্ঘ সময় নেটে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে। যেখানে বেশ কিছু দর্শনীয় মাটি ঘেঁষা শটের সঙ্গে চার-ছক্কাও মারতে দেখা গিয়েছে বিরাটকে। সাংবাদিক সম্মেলনে আসা শ্রেয়স আইয়ার বলছেন, ‘‘এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কিছুই নেই। আমরা ক্রিকেটের এমন এক কিংবদন্তীকে নিয়ে আলোচনা করছি। যে সব ধরনের ক্রিকেটেই ঝুড়ি ঝুড়ি রান করেছে।’’
রবিবার ম্যাচ চলার সময়ে মাঠে শিশিরও পড়তে পারে। ফলে টস জেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সঙ্গে এটাও পরিষ্কার, যারাই টস জিতবে, শুরুতে তারাই ব্যাট করবে। প্রতিকূল অবস্থা সামলানোর জন্য শনিবার ভেজা বলে ভারতীয়দের ফিল্ডিং অনুশীলনও হল ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের তত্ত্বাবধানে। শ্রেয়স যে প্রসঙ্গে বলছেন, ‘‘আমরা যখন ক্যাচ ধরার অনুশীলন করছিলাম, তখন বল জলে ভিজিয়ে ছুড়ছিলেন ফিল্ডিং কোচ। প্রতিকূল সব সমস্যার মোকাবিলা করার জন্যই তৈরি আমরা।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘উইকেটের চরিত্র দেখে মনে হল, দ্বিতীয় ইনিংসে বল জোরে আসবে। তবে শিশির একটা বড় প্রভাব ফেলবে এই ম্যাচে। তাই টস জেতা জরুরি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলেছিলাম আমরা, সেই ম্যাচে মাঠ শিশিরে ভিজে গিয়েছিল।’’
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে শেষ দুই ওয়ান ডে ম্যাচেই রান পেয়েছেন শ্রেয়স। এ দিন সে প্রসঙ্গ তোলা হলে শ্রেয়স বলেন, ‘‘অভিজ্ঞতার সঙ্গে দায়িত্ববোধ বাড়ছে। সেই কারণেই নিজের খেলায় এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলেই রান পাচ্ছি। মাঝের দিকে ব্যাট করতে নেমে চেষ্টা করছি জুটি বেঁধে স্কোরবোর্ডে দলের রান বাড়ানোর জন্য।’’
ভারতীয় বোলিংয়ে পেসারদের মধ্যে চোটের কারণে বাদ পরতে হয়েছে ভুবনেশ্বর কুমার ও দীপক চাহারদের। তাঁদের জায়গায় দায়িত্ব নিভাতে এসেছেন শার্দূল ঠাকুর ও নবদীপ সাইনি। আজ দুই সিমার নিয়ে খেললে নবদীপের প্রথম দলে আসার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, রঞ্জি ট্রফিতে ভাল ছন্দে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অন্য দিকে, বিশাখাপত্তনমে শার্দূল প্রত্যাশা মতো বল করতে পারেননি। পাশাপাশি এটাও দেখার যুজবেন্দ্র চহাল ও কুলদীপ যাদবকে ফের এক সঙ্গে খেলানো হয় কি না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ফিল সিমন্স আবার জোর দিচ্ছেন নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স করার ব্যাপারে। তাঁর কথায়, ‘‘রবিবার আমাদের সেরাটা দিতে হবে। তবে ভারতের মতো দুর্দান্ত দলের বিরুদ্ধে অনেক সময় সেরাটা দিয়েও পরাজিতদের দলে থেকে যেতে হয়।’’ সঙ্গে এটাও যোগ করেন, ‘‘একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। যদি তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে হেরে সিরিজ না জিততেও পারি, তা হলেও সেই উদ্দেশ্য ধাক্কা খাবে না।’’
***সংবাদটি সংবাদ একলব্য সম্পাদন করেনি, নিউজফিড থেকে সংগৃহীত
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊