মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে কেউ যদি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, তবে রক্ত দেয়া জরুরি হয়ে পড়ে। তবে ইচ্ছা করলেই তো যে কেউ রক্ত দিতে পারে না। কারণ রক্তদাতা ও রক্ত গৃহীতার গ্রুপে অবশ্যই মিল থাকতে হবে। এ ছাড়া রক্তে বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস থাকে। তাই রক্ত পরীক্ষার না করে তা অন্যের শরীরে দেয়া উচিত নয়।
যাদের শরীরে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত রয়েছে (যেমন– ও নেগেটিভ (O-), এবি নেগেটিভ (AB-), বি নেগেটিভ (B-)। বিপদের সময় তাদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে তা খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
‘আমেরিকান রেড ক্রস’ জানাচ্ছে– যে গ্রুপের রক্ত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে একজনের শরীরে থাকে। এসব রক্তের গ্রুপকে ‘বিরল’ রক্ত বলা হয়। ও নেগেটিভ (O-) হলো একটি ‘বিরল’ রক্তের গ্রুপ। কিন্তু এমন একটি রক্তের গ্রুপ রয়েছে, যা প্রতি ৬০ লাখ জনের মধ্যে একজনের শরীরে রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এটিই হলো বিশ্বের ‘বিরলতম’ গ্রুপের রক্ত। রক্তের এই গ্রুপটিকে বলা হয় ‘গোল্ডেন ব্লাড’। চিকিৎসকদের কাছে এটি ‘আরএইচ-নাল’ নামে পরিচিত।
১৯৬১ সালে প্রথম ‘আরএইচ-নাল’ গ্রুপের রক্তের সন্ধান পাওয়া যায়। এই রক্তের আরএইচ সিস্টেমে ৬১ অ্যান্টিজেনের অস্তিত্ব ছিল না। বিগত ৫৮ বছরে বিশ্বে মাত্র ৪৩ জন মানুষের মধ্যে এই গোল্ডেন ব্লাডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এই ধরনের রক্ত বিরল হওয়ার কারণেই এই গ্রুপটির নাম দেয়া হয়েছে গোল্ডেন ব্লাড। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের শরীরে এই গ্রুপের রক্ত রয়েছে, তারা যে কোনো গ্রুপের মানুষকেই রক্ত দিতে পারবেন। তবে সবার থেকে রক্ত নিতে পারেন না।
source: internet
source: internet
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊