গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, ছত্তিসগড়, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গের মাছ উৎপাদনের হার কম বলে মৎস দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে  বর্তমানে মৎস্য বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ খুবই সংকটময়। 

জানা গেছে এই সংকটের প্রধান কারণ হলাে ২০১৩ সালে গঠিত “স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অন ফিস এন্ড ফিসারিজ” আজও বাস্তবায়ন না করা অর্থাৎ মৎস্য দপ্তরকে কৃষি দপ্তর ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর এর সমতুল্য গঠন পরিকাঠামাে প্রদান না করা এবং পাশাপাশি বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত অর্থাৎ প্রফেশনাল বি. এফ. এস. সি. স্নাতকদের ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার হিসাবে মৎস্য দপ্তর প্রবেশের সুযােগ ৪০ % কমিয়ে দেওয়া। 

এমনি অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স অন ফিস এন্ড ফিসারিজ” এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের ২০১৫ সালে অবস্থান-বিক্ষোভ এবং ২০১৭ সালে দীর্ঘ ২২ দিনের বৃহত্তর অনশন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়। 

তার ফল স্বরূপ ২০১৭ সালে মৎস দপ্তর পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাসও দেওয়া হয়। 

কিন্তু এক বছর অতিক্রম করার পরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৮ সালে মার্চ মাসে আবারও অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয় পড়ুয়ারা এবং সেই আন্দোলনের ফলে মেলে মৎস্য দপ্তরের কিছু শুষ্ক আশ্বাস। কিন্তু  সেই আশ্বাস পর্যন্তই। কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। 
দীপ নারায়ণ মিশ্র, সায়ন্তন ভট্টাচার্য, বুদ্ধদেব গিরি, অঙ্কিতা সাহা, সায়নি চ্যাটার্জী-রা জানায়-
"আমাদের দাবী, অবিলম্বে মৎসদপ্তরের পুনর্গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে যোগ্য স্থানে প্রফেশনাল BFSC (৪ বছর) স্নাতকতদের নিয়োগ করতে হবে। অথবা অবিলম্বে ফ্রিশারিস এক্সটেনশন অফিসার (FEO) পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বর্তমান নিয়ম পরিবর্তন করে প্রফেশনাল BFSC (৪ বছর) স্নাতকতদের ১০০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।" 

জেনারেল সেক্রেটারি  সায়ন্তন ভট্টাচার্য জানায়- দাবী না মানা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।