বন্দি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা দম্পতিকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। মানবিকতা বিবেচনা করেই আদালতের এই নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া, রাজ্য সরকারকে কোর্টের নির্দেশ, বেঁচে থাকতে গেলে ওই দম্পতির যে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘটনায় প্রকাশ, ২০১৭ সালে ভারতে প্রবেশ করে আব্দুর সুকুর ও আনোয়ারা বেগম নামে রোহিঙ্গা দম্পতি। তারাই কোর্টে ভারতে থাকতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালতের এই নির্দেশ। গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে দমদম জেলে বন্দি রয়েছেন এরা।
এদিন কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এফিডেবিট দিতে বলা হয়েছে। আবেদনকারীকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জানুয়ারি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধান ও রাষ্ট্রসংঘের নীতি মাথায় রেখে, ‘আবেদনকারী দম্পতির চরম দুর্দশার কথা দেখে ও মানবাধিকার বিবেচনা করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তদন্ত চলছে। তাছাড়া ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশনর ফর রিফিউজি এই দম্পতিকে উদ্বাস্তু ঘোষণা করে পরিচয়পত্র দিয়েছে। আপাতত এদেশ থেকে রোহিঙ্গা দম্পতিকে বিতাড়িত করা যাবে না ও রাজ্য সরকারকে তাদের বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা করে দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই নির্দেশই বলবৎ থাকবে।’
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊