বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন খবরে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমের অন‍্যতম প্ল‍্যাটফর্ম ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল লন্ডনে সরকারীভাবে দ্বিতীয় ভাষার তকমা পেয়েছে বাংলা। লন্ডনে বসবাসকারী মানুষেরা ইংরাজীর পরেই বাংলাভাষী। এও দাবি করা হয়েছিল লন্ডনে ৭১৬০৯ জন মানুষ বাংলায় কথা বলে তাই বাংলা ভাষাকে লন্ডনের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতী দিয়েছে। Asian Voice.com নামক একটি পোর্টালে হেডলাইন ছিল "বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃত দিল লন্ডন।" এইসব খবর ভাইরাল হতেই বাঙালীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ইত‍্যাদি সামাজিক মাধ‍্যমে। একে একে আক্রমন শুরু হয় বাংলা ভাষা বিরোধীদের উপর। কিন্তু সেই ঘটনা পুরোপুরি ভুল বলে জানা গেছে।

২০১১ এর রিপোর্ট অনুসারে, ২২২১২৭ জন বাংলাদেশী লন্ডনে বসবাস করে। ঐ একি রিপোর্ট অনুসারে ৪৯.৫% ব্রিটিশ বাংলাদেশীর ৪৭.৯% প্রধান ভাষা হিসাবে ইংরাজীকেই প্রকাশ করে। ২০১১ সালের রিপোর্ট অনুসারে ২২২১২৭ জন মানুষ বাংলাদেশী, ২০১৯ সালে ৭১৬০৯ জনেরও বেশি মানুষ লন্ডনে বাংলা ভাষায় কথা বলে। ২০১৬ এর রিপোর্ট অনুসারে আরবি ভাষা ছিল লন্ডনের দ্বিতীয় স্বীকৃত ভাষা (বেসরকারীভাষায় প্রথম) এরপরে স্প‍্যানিশ, চাইনিজ ও পোলিশ। সবচেয়ে বড়ো বিষয় আপাতত লন্ডনের প্রথম ১০টি ভাষার তালিকাতেই স্থান পায়নি বাংলা।

তবে জানা গেছে সরকারী ভাবে ২০২১ সালের পূর্বে এরুপ কোনো ঘোষনা সরকারের পক্ষ থেকে হবে না। কারন, প্রতি ৫ বছর অন্তর ইউকে সেন্সাস হয়। ২০১৬ সালের পর পরবর্তী সেন্সাস ২০২১ সালে। এই খবর কে বা কারা ছড়ালো? কেনইবা ছড়ালো? এর কোনো তথ‍্য মেলেনি। এই মুহুর্তে এটা একটা ফেক নিউজ।