নিজস্ব সংবাদদাতা:উত্তরবঙ্গে কিন্তু প্রবল শীতের দাপট সেই নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।শীতে জবুথবু হয়ে কাপছে গোটা উওরবঙ্গ। দিনের বেশিরভাগটাই আমাদের কাটছে গরম সোয়েটার, জ্যাকেটের ভেতর, কিংবা দিনের শেষে গরম লেপ কম্বলের তলায়। সকাল সন্ধ্যে হাতে গরম চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে দিতে পিকনিকের প্ল্যান।
কিন্তু খেটে খাওয়া মজুর, কিংবা আমাদের উষ্ণ করতে চা কফির আসল কারিগর তথা শ্রমিকরা কি করে কাটায় তাদের কথা কখনও আমাদের ভাবনায় আসে না। আমাদের কাছে উষ্ণতা পৌঁছে দিতে যাদের অবদান সর্বাধিক যাদের কারণে আমরা শীতের সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে উষ্ণতার ছোঁয়া পাই, চাপাতা তোলা থেকে সেটা একদম আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে যাদের সম্পুর্ন অবদান তাদের উষ্ণ হওয়ার অবকাশ আছে তো ?যাদের মাথায় ছাদ,পেটে ভাত-দুটোই প্রশ্নের মুখে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলেই না শব্দটাই উঠে আসে তাদের শীত নিবারণের প্রয়োজনীয় পোশাক তো দূরে থাক,রাতে গায়ে দেওয়ার মত একটা সাধারণ কম্বল অবধি নেই।যেখানে দুবেলা খাবার অবধি জোটে না সেখানে গায়ে গরম পোষাক কিংবা কম্বল বিলাসিতার স্বপ্নমাত্র।এই মানুষগুলোর কষ্ট অনুধাবন করে “আনন্দ আয়োজন” নামে একটি তরুণদের পরিচালিত সংস্থা এগিয়ে আসে তাদের মধ্যে উষ্ণতা ছড়াতে।
গত ২৯শে ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার লাটাগুড়ি সংলগ্ন ক্রান্তি বনবস্তির ৫০ জন দুঃস্থ বৃদ্ধ বৃদ্ধার মধ্যে কম্বল বিতরণ করে উষ্ণতা ছড়ালো আনন্দ-আয়োজন পরিবার ।
সেই সময়ে দাঁড়িয়ে উষ্ণতা দিতে আসা ও উষ্ণতা নিতে আসা সকলের মুখেই তখন জ্বলজ্বল করছে খুশির ঝিলিক।
সোশ্যাল মিডিয়া মারফত প্রচারের মাধ্যমে উঠে আসা সাহায্য থেকেই এই আয়োজন বলে জানাচ্ছেন সংস্থার সদস্যরা।আনন্দ আয়োজন সংস্থার পক্ষ থেকে এক সদস্য শ্রেয়সী ধর বলেন,”আমরা চেয়েছিলাম এই শীতে সকলে উষ্ণতা পাক।তবে এক্ষেত্রে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে,তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞ।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊