SER-10,১১ই ডিসেম্বর : গত সোমবার সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ধর্ণায়বসা পার্শ্ব শিক্ষকদের পাশে  এসে দাঁড়াল এবিভিপি। একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে গত ১১ ই নভেম্বর থেকে অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন চলছে পার্শ্ব শিক্ষকদের। সেইসকল অনশনরত পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে এসে দাঁড়ল এবিভিপি।

রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে কর্মরত শিক্ষকদের দাবি কোনও ভাবেই পূরণ না হওয়ায় বিগত কয়েকদিন ধরে  সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্ব শিক্ষকরা। অথচ রাজ্য সরকার তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে নিশ্চুপ বলে এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে । এমনকি তাদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রায় এক মাস সম্পূর্ণ হলেও তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে সহানুভূতি দেখাননি শিক্ষামন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। যদিও একমাসের মাথায় আজ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান এবিভিপির প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন এবিভিপির  রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার। এ'দিন তারা রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এছাড়াও রাজ্যের বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত তাদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুনঃ পার্শ্বশিক্ষকদের হয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি লিখলেন সাংসদ

রাজ্য সরকারের প্রতি এবিভিপির দাবি,দ্রুত পার্শ্বশিক্ষকদের বকেয়া কেন্দ্রীয় বেতন প্রায় ৩৫ কোটি টাকার সম্পূর্ণ হিসেব দিতে হবে। এবিভিপির সদস্যরা বলেন, এই বকেয়া টাকার হিসাব না দিলে এই কাটমানি খাওয়া সরকারের আর কোনো প্রয়োজন নেই।



এবিভিপি রাষ্ট্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের সমাজের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর আজ সেই ৪৮ হাজার শিক্ষক অসুরক্ষিত। এর আগেও আগস্ট মাসে রাজ্য সরকারের দালাল পুলিশ রাতের অন্ধকারে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনের উপর হামলা চালিয়ে যে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তাতেই বোঝা যায় মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর বিন্দুমাত্র শিক্ষা জ্ঞান নেই।”

তিনি আরও বলেন, “মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আসার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিন বছরের মধ্যে সমস্ত পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনো পযর্ন্ত পালন হয়নি।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, বেতন কাঠামো করলে আপার প্রাইমারির শিক্ষকরা পাবেন মাসে ৩৩ হাজার টাকা। আর প্রাইমারি শিক্ষকরা পাবেন মাসে ২৬ হাজার টাকা। কিন্তু এখন প্রাইমারির পার্শ্ব শিক্ষকরা পাচ্ছেন মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা, আর আপার প্রাইমারির শিক্ষকরা পাচ্ছেন মাত্র ১৩ হাজার টাকা। তারা প্রায় ২০ হাজার টাকা কম পাচ্ছে। এই টাকা কোথায় যাচ্ছে? এ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন পার্শ্ব শিক্ষকদের।

আজ সমস্ত প্রশ্নের সমাধানের আশায় রয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা।

প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে-