পশ্চিমবঙ্গের আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের হয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে চিঠি লিখলেন সিপিআই(এম)'র রাজ্যসভার সদস্য কেরালার সাংসদ এলামারাম করিম।
চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন- " পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্বশিক্ষকরা ১১ ই নভেম্বর থেকে শিক্ষা বিভাগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ৪০ জন শিক্ষক ২০ দিনের জন্য অনশন করছেন। স্কুলগুলিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত বজায় রাখতে তারা সরকারী শিক্ষা ও সহায়তাকারী বিদ্যালয়ের সর্বশিক্ষা অভিযানের অধীনে রাজ্য শিক্ষা বিভাগ (ডাব্লু.বি) দ্বারা যথাক্রমে ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে নিযুক্ত হয়েছিল। আরটিই আইন ২০০৯ অনুসারে তাদের প্রত্যেকের প্রশিক্ষিত এবং পর্যাপ্ত যোগ্যতা রয়েছে। তারা 12 থেকে 15 বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিষেবাতে রয়েছে এবং ঠিক সহকারী শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়ের সেবা করছে।"
তিনি আরও জানিয়েছেন-" কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার কর্তৃক ৬০:৪০ অনুপাতে পারিশ্রমিকের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে, তাদের কেবলমাত্র প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের জন্য যথাক্রমে মাসে ১০,০০০ এবং ১৩,০০০ টাকা দেওয়া হয়।"
তিনি স্পষ্ট ভাবে জানান- "রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষ দিচ্ছে যে কেন্দ্র সরকার কোন অর্থ দেয়না।" এই বিভ্রান্তি অবিলম্বে মুছে ফেলা আবশ্যক বলেও চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ঐক্যমঞ্চ এই ভাতা ব্যবস্থা বন্ধ করার এবং নিয়মিত শিক্ষক হিসাবে বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা বা তাদের জন্য সমান কাজের জন্য সমান বেতনের ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে যা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের দাবির বিষয়ে আজ অবধি সাড়া দেয়নি বলেই চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেছেন- "প্রায় ৪০ জন পার্শ্ব শিক্ষক ১৫ ই নভেম্বর ২০১৯ থেকে আজ অবধি অনশনে রয়েছেন। ইতিমধ্যে, সংগ্রামী শিক্ষকদের একজন প্রয়াত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবুও সরকারের শেষ পর্যন্ত তেমন কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।"
এমনকি "রাজ্য সরকার 48000 পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তারা কতটা পাচ্ছে তা প্রকাশ করেনি। কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপই এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারে। যেহেতু এই শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন, তাই নিয়মিত শিক্ষকদের সমতুল্য বেতন কাঠামো কেন্দ্রের দ্রুত ঘোষণা করা উচিত।" বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
ইতিমধ্যে এই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। সাথে তাদের অভিযোগ অন্যরাজ্যের সাংসদের চোখে এই পার্শ্বশিক্ষকদের সমস্যা নজরে আসলেও দুর্ভাগ্য যে আমাদের রাজ্যের সরকারের চোখে তা পড়ে না।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊