২০১৩ ন্যাশনাল ফুড সিকিওরিটি অ্যাক্ট বা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে আওতাভুক্ত যোগ্য গর্ভবতী মহিলাদের ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা দিতে হবে। যেসব মায়েরা স্তন্যপান করান তাঁরাও এই আওতায় আসবেন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে এই নিয়ম চালুর নির্দেশ দিলেন দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
যেসব রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, সেখানে এই মর্মে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। মূলত এই ব্যবস্থা দ্রুত চালু হয় তা সুনিশ্চিত করতে চাইছেন সভানেত্রী। তিনি আরও বলেছেন, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে এই স্কিম চালু হয়ে গেলে বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাবে। বাকি রাজ্যেও যাতে এই সুবিধা চালু করা যায় সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন সোনিয়া। তিনি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা যোজনায় টাকার পরিমাণ ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে কেন্দ্রের এই স্কিমে একজন মহিলা প্রতি একটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। এইসব বিধিনিষেধ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনকে লঙ্ঘন করার সমান। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭-১৮ সালে কেন্দ্রের এই স্কিম অনুযায়ী মাত্র ২২ শতাংশ মহিলা সুবিধা পেয়েছেন। এত কম সংখ্যক মহিলা কেন সুবিধা পেলেন তানিয়ে কেন্দ্রের অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি মনে করেন আধার সংযুক্তির কারণেই যত গোলমাল, কোথাও লিঙ্ক ফেল হয়েছে। কোথাও বা সময়ে জমা পড়েনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। সোনিয়া গান্ধী মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশ্য লিখেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভভ এই সমস্যার সমাধান করে টাকা চালু করে দেওয়া হোক।
Social Plugin