১১ নভেম্বর থেকে বিকাশভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বসা হাজার হাজার শিক্ষকদের কষ্ট বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। তাই চুপ থাকতে পারেননি তিনি। আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান-
"পার্শ্ব শিক্ষকদের সমস্যা আমি গভীরভাবে অনুভব করি , কারণ আমিও একদা অতি তুচ্ছ বেতনে শিক্ষকতা করেছি । পার্শ্ব শিক্ষকেরা এখন যে বেতন পান তাতে জীবনধারন বা সংসারযাপন সম্ভব নয় । তাঁরা পূর্ণসময় কাজ করে যতসামান্য যা পান তাতে এই দুর্মূল্য সময়ে তাঁরা কি ভাবে টিঁকে থাকবেন সেটা সরকারকে ভেবে দেখতে বলি । আমি তাঁদের আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলতে চাই , অবিলম্বে তাঁদের দাবী পূরণে সরকারের তৎপর হওয়া উচিত ।" 

আজ বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ পার্শ্বশিক্ষকদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে  বার্তা পাঠান। তিনি জানান-
"কিছুদিন আগে এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা বাধ্যত একটা অনশন আন্দোলনে বসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোনো একটা সুরাহা ঘটেছে তার ফলে। কিন্তু পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনগত কোনো সুব্যবস্থা ঘটেনি। প্রায় দশ বছর ধরে এঁরা বঞ্চিত হয়ে আসছেন। ২০০৯ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি যখন রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন বামফ্রন্ট, আমাদের স্বপক্ষে তখন প্রধান প্রতিবাদী মুখ হিসেবে তাঁরা পেয়েছিলেন বর্তমান কালের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি।  কিন্তু ২০১১ সালে নতুন সরকার গঠিত হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত তার কোনো মীমাংসা না হওয়ায় এঁরা আবার বাধ্যত অবস্থান আন্দোলনের পথে বসেছেন। আর নিরুপায় ভাবে অনশনের পথে যাবেন বলে ভাবছেন।


আমাদের এই রাজ্যে সমস্যার কোনো অন্ত নেই। কিন্তু শিক্ষাজগৎটাকে অন্য সব সমস্যা থেকে স্বতন্ত্রভাবে গুরুত্ব নিয়ে তার কোনো সুব্যবস্থা করা যে জরুরি সেটা নিশ্চয়ই সরকার বুঝবেন। ২০০৯ সালে প্রকাশ্য সভায় বর্তমান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা আশা করবো, যে অনশনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই বর্তমান সরকার একটা মীমাংসা সূত্র বার করতে পারবেন, সেই প্রতিশ্রুতির মর্যাদা রক্ষা করবেন। "


নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -



like our facebook page for more update