source: yourstory
কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পরষোত্তম রুপালা দেশে জৈব পদ্ধতিতে চাষের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই পদ্ধতির চাষে উৎপাদিত ফসলের বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে, আর ভারত সেই চাহিদা পূরণে সক্ষম বলে মন্ত্রী মত প্রকাশ করেন আজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষিক্ষেত্রে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা সফলভাবে রূপায়িত হচ্ছে। “কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন-চ্যালেঞ্জ ও মোকাবিলা” শীর্ষক একটি আলোচনাসভায় মন্ত্রী আজ বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি জানান, রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহ দিতে সরকার নানান উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জৈব সার উৎপাদনে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।

কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, ‘সয়েল হেলথ কার্ড’, নীমের আস্তরণ যুক্ত ইউরিয়া, জৈব পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহদানে ‘পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা’, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা, শস্য বীমা ইত্যাদি। শ্রী রুপালা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় হ্রাসে ও বাজারে সঠিক সহায়তা পাবার জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। 

মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জন্য পেনশন প্রকল্প সরকার চালু করেছে। এই প্রকল্পে একজন কৃষক প্রতি মাসে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে পারেন। সরকারও ওই তহবিলে সমপরিমাণ অর্থ দেবে। ৬০ বছর পর কৃষক নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন প্রতি মাসে পাবেন। 

শ্রী রুপালা, উন্নত দুধ প্রদানকারী ‘গির’ প্রজাতির গো-পালনের পরামর্শ দেন। তিনি রাস্তার গরুদের জন্য গোশালা নির্মাণের আহ্বান-ও জানান।গুজরাতের সৌরাষ্ট্রে এই গরুর উৎস। একটা মহিলা গির গাইয়ের গড় ওজন ৩৮৫ কেজি। পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৫৪৫ কেজি। সাধারণত এদের গায়ের রং লাল। সাদা ছোপ থাকে। চামড়াও বেশ নরম ও চকচকে। কানগুলো বেশ লম্বা। সব থেকে বড় গুণ এর দুধ দেওয়ার ক্ষমতা। সেরা সময়ে এই গরু থেকে দৈনিক প্রায় ১২ লিটার দুধ মেলে। এই দুধের জোগানদারের জন্য অন্যান্য গরুর প্রজননে গিরকে ব্যবহার করা হয়। গির অভয়ারণ্যের কাছেই এ‌ই গাইয়ের যত বাড়বাড়ন্ত। গুজরাত জয় করে এখন গোটা দেশে এই গাইয়ের দারুণ কদর। প্রচণ্ড সহিষ্ণু এই প্রজাতির গরু। গরম সহ্য করতে পারে। রোগভোগও তেমন নেই।