SER-10, ময়নাগুড়ি, ২৪শে নভেম্বর ২০১৯ : রেডিও আবিষ্কার হয় ১৮৯৮ সালে। জানা যায় ২৪ বছর বয়সে ইতালিয়ান তরুণ বিজ্ঞানী গুলিয়েলমো মার্কোনি বিশ্বে প্রথম রেডিও আবিষ্কার করেন এবং তার বাণিজ্যিক সার্ভিস চালু করেন। রেডিওর অপর নাম বেতার। বেতার হল তার ব্যতীত যোগাযোগের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এতে তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য প্রেরণ বা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ডুমুর ফুলের মতো হয়েছে এই রেডিও বা বেতার নামক যন্ত্রটি। যা এখন ইন্টারনেটের যুগে বিলুপ্ত প্রায়। যেন জাদুঘরের মধ্যে আটকে রয়েছে অনেকের বাড়ির রেডিও। আগে মহালয়ার দিন এলেই ভিড় দেখা গিয়েছিল প্রত্যেক রেডিও-র দোকানে। রেডিওতে আশ্বিনের শারদপ্রাতের ভোরে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির । 'মহিষাসুরমর্দিনী' না শুনলে পুজোটাই যেন পানসে হয়ে ওঠে সকলের। দূর্গা পুজোর আগে রেডিও সারাতে মানুষের ঢল ছিল দেখবার মতো। কিন্তু টিভি ও ইন্টারনেট আসায় রেডিও-র কদর কমেছে। 
আজও সেই পুরনো দিনের বিলুপ্ত প্রায় রেডিও দেখতে পাওয়া যায় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ২ নম্বর সাপ্টিবাড়ী অঞ্চলের কাশীরডাঙ্গা গ্রামের সর্বানন রায়ের হাতে। তিনি বলেন, প্রায় ২০০৫ সাল থেকে আমি রেডিওতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে দেশ বিদেশের খবর শুনি। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে খবর বা মহালয়া রমরমা হলেও, মহালয়ার ভোরে এখনও আমি রেডিওতে 'মহিষাসুরমর্দিনী'‌র মহালয়া শুনি। তবে শুধু মহালয়া নয় আমি সারা বছর আমার রেডিওতে বিভিন্ন খবর শুনি এবং সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুনি। টিভির থেকে আমার প্রিয় এই রেডিও। রোজ দিন সকাল ৫টা থেকে প্রায় সারাদিন'ই রেডিওতে বিভিন্ন সম্প্রচার শুনি।

নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -



like our facebook page for more update