রাজ্যে বাড়তে চলেছে জেলার সংখ্যা। ভাগ হয়ে যাচ্ছে মালদা,মুর্শিদাবাদ। মালদা ভাগ হচ্ছে দুটি জেলায় এবং মুর্শিদাবাদ ভাগ হচ্ছে তিনটি জেলাতে। মালদা জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, মালদাকে দুটি জেলায় ভাগ করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনাও হয়েছে।এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।
জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানান,উত্তর মালদাকে আলাদা করে জেলা করা হচ্ছে। যেখানে চাঁচলকে জেলার সদর শহর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।চাঁচল জেলা হলে তার সঙ্গে থাকছে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া এবং মানিকচক।অন্যদিকে মালদা জেলার সঙ্গে থাকছেগাজোল,ইংরেজবাজার,কালিয়াচক,বৈষ্ণবনগর। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর মানিকচককে নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। মানিকচকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এই বিষয়ে চূড়ান্ত আপত্তি তুলেছে।বিশেষ করে এই অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।এমন কি জানা গিয়েছে, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলও এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। তাদের দাবি, প্রশাসনের কাজের সুবিধার্থে মালদা জেলাকে ভাগ করা যেতেই পারে কিন্তু মানিকচককে মালদা জেলার মধ্যেই রাখতে হবে। চাঁচলের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। মানিকচককে চাঁচলের অন্তর্ভুক্ত করা হলে এই এলাকার সাধারণ মানুষ চরম সমস্যায় পড়বেন।কারণ মালদা শহর তাদের অনেক কাছে। চাঁচল সদর শহর হলে তা হয়ে যাবে অনেকদূরে। প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার বেশি দূরে যেতে হবে তাদের।কোনো কোনো গ্রামের মানুষকে তার থেকেও বেশি দুরে কাজ নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া, এই এলাকায় যোগাযোগ বা পরিবহন ব্যবস্থাও ভালো নয়।ফলে বিভিন্ন কাজ নিয়ে সদর শহরে আসা মানুষরা বিপাকে পড়বেন। রাজ্যের এক পুলিশ কর্তা জানান,মানিকচকের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে মানিকচকের বদলে গাজোলকে চাঁচলের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় নি। তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মালদা, মুর্শিদাবাদ দুইএর ক্ষেত্রেই পুলিশ জেলা করা হচ্ছে। অর্থাৎ নতুন জেলা গুলিতে একজন করে এসপি থাকবেন। কিন্তু আপাতত, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ দুই ক্ষেত্রেই জেলাশাসক যেমন আছেন তেমনই একজন করেই থাকবেন। তবে পরবর্তীতে পরি কাঠামোগত উন্নতির সাথে সাথে নতুন এইসব পুলিশ জেলা গুলিকে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তখন নির্দিষ্ট জেলা গুলিতেও একজন করে জেলাশাসক থাকবেন।
মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে বহরমপুর,লালগোলা এবং জঙ্গিপুরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও দুই জেলাতেই এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
কিন্তু কবে হবে ঘোষণা?
সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊