pic: nusrat jahan rafi fb 


চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নিজের শহর ফেনীতে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিল নুসরত। চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ঠিক আগে এই সেমিনারে যায় সে। সেখানে তাঁকে নানা কৌশলে ওই ভবনের ছাদে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। হামলাকারীরা সকলেই বোরখায় ঢেকে রেখেছিল নিজেদের। বারেবারে দৌলার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ দেওয়া হয় নুসরতকে। নুসরত ওই অভিযোগ প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতীরা তাঁর গায়ে কেরোসিন মিশিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেই জানিয়েছে বিবিসি।

এই ঘটনাটি ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করে প্রতিবেশী দেশটিতে এবং বাংলাদেশে যৌন নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় আক্রান্তরা আসলে কতটা উদ্বেগ ও আশঙ্কা নিয়ে বেঁচে থাকেন সেই নগ্ন সত্যিটাও প্রকাশ করে দেয়।
pic:aljajira
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকেই বিচারের আওতায় আনা হবে।

সাত মাস আগে ঘটা নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশ! মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নৃশংসভাবে প্রাণ হারাতে হয় নুসরত জাহান রফিকে (Nusrat Jahan Rafi)। গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে জ্যান্ত তাঁকে পুড়িয়ে মারে দুষ্কৃতীরা! এই ভয়ানক হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি আদালত মোট ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল। বিডিনিউজ২৪ জানিয়েছে এই নৃশংস ঘটনার মূলে যিনি অর্থাৎ সেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলাও (SM Siraj-Ud-Doula) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন। ফেনী মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (Feni Women and Children Repression Prevention Tribunal) বিচারক মামুনুর রশিদ বৃহস্পতিবার এই ঘটনার রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ১৬ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সকলেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।