Sangbad Ekalavya: জীবনের শেষবেলায় সেই সন্তানের ধারালো অস্ত্রের কোপেই বাদ গেল বৃদ্ধার হাত। পরিজনদের দাবি, সম্পত্তি হস্তগত করতে না পেরে এই কুকীর্তি ছেলের। নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী বাঁকুড়ার ইন্দাসের বামনিয়ার দক্ষিণপাড়া। ‘গুণধর’ ওই ছেলেকে আটক করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বামনিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা প্রফুল্ল ভৌমিকের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। প্রফুল্লবাবুর বড় ছেলে প্রশান্ত সব সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ দম্পতি তাতে সায় দেননি। তার জেরেই শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রথমে প্রফুল্লবাবুর উপরে ধারালো বটি নিয়ে চড়াও হন প্রশান্ত। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বীনাদেবীও আক্রান্ত হন। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর দুটি হাতই কাটা পড়েছে। প্রফুল্লবাবুর ছোট ছেলে পরিতোষ ভৌমিক এদিন দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমি নিম্নজাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলাম বলে বাবা, মা-সহ পরিবারের লোকজন আমাকে দীর্ঘদিন মেনে নেননি। ছ’মাস আগে সকলকে বুঝিয়ে আমি বাড়িতে ঢুকি। তখন থেকেই বাড়িতে বসবাস করছি। তাই নিয়ে দাদা বাড়িতে অশান্তি শুরু করেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই দাদা সব সম্পত্তি, ওর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বাবা-মা ওকে সব সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি হননি। তাই কিছুদিন আগে বাবাকে দাদা মারধরও করেছিল। আমি ব্যবসার কাজে বাইরে চলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় যে দাদা বাবা-মাকে বটি দিয়ে কেটে দিয়েছে। সম্পত্তির লোভেই দাদা এই কাজ করেছে।”ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন পরিতোষবাবুর স্ত্রী মিনু ভৌমিক। তিনি বলেন, “হঠাৎ করেই আমার ভাসুর বটি বের করে তেড়ে আসেন বাবার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দেন। আমি তখন ভয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি মেঝেতে রক্তবন্যা। অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবা-মা।”
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊