বাঙালির হেঁশেল
অমৃতা সেনগুপ্ত চন্দ

বাঙালিয়ানার কি পরিবর্তন হয়েছে? না বাঙালিদের জিভের স্বাদের পরিবর্তন হয়েছে? বাঙালি রান্নাঘরে সেই চিরপরিচিত স্বাদ-গন্ধের কি আকাল দেখা দিচ্ছে? তবে কেন বাড়িতে অতিথি আসলে বাইরে থেকে খাবার আসে? কেন জামাইষষ্ঠী থেকে দূর্গা পুজোর খাওয়া-দাওয়া ক্ষেত্রে এখন অধুনা বাঙালি রেস্তোরাঁর দিকে ঝুঁকে পড়েছে? পাত পড়ছে রেস্তোরাঁর টেবলে? কিন্তু পাতে তো নতুন কিছু না, বাহারি কায়দায় পরিবেশন করা হচ্ছে বাঙালির চিরাচরিত রান্নাই! তবে ঘরে কেন রান্না হবে না? কেন অতিথিরা হোটেলে খেতে যাবে ? তবে কি বাঙালি তার অতিথিকে খাওয়ানোর সনাতন পদ্ধতি ভুলে যাচ্ছে ?
তবে যাইহোক আজ এই বিশ্বায়নের যুগে বাঙালি রান্নার মধ্যেও ঢুকে গেছে বিভিন্ন ফিউশন রান্না । আর্ন্তজাতিকতার মিশেলে সেই চির পরিচিত বাঙালি রান্না হয়ে ওঠে স্বাদে গুণে সেরা । গ্লোবালাইজেশানের পিঠে সওয়ার হয়ে বাঙালিরান্না জয় করেছে পৃথিবীর সব খাদ্য রসিকদের মন । এমনই সব রান্না নিয়ে হাজির বাঙালির হেঁশেল এ ।

                                                           
       


মনটি কারলো আইসক্রিম
উপকরণ: নরম ব্রিটানিয়া  চকলেট কেক, ভ্যানিলা আইসক্রিম, আমুল ফ্রেশ ক্রিম, চকলেট পাউডার, ওরিও বিসকুট।

রন্ধন প্রণালী:
প্রথমে বেশ কিছুটা ভ্যানিলা আইসক্রিম আর আমূল ফ্রেশ ক্রিম ম্রিক্সি তে ব্লেন্ড করে নিতে হবে
একটি কাচের গ্লাস নিয়ে তাতে অল্প করে ব্রিটানিয়া কেক ছিড়ে ছিড়ে দিয়ে তার ওপর দিতে হবে আমূল ফ্রেশক্রিম আর ভ্যানিলা আইসক্রিমের ম্রিশ্রন,  অল্প চকলেট পাউডার,

এরপর দুটি লেয়ার একই রকম ভাবে সাজাতে হবে।
সবশেষে ভ্যানিলা আইসক্রিমের লেয়ার দিয়ে ওপর চকলেট পাউডার দিয়ে সাজানো হলে কিছু কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে পরিবেশন এর সময় ওপর  দিতে পারেন ওরিও চকলেট বিস্কুট।

দশমীতে আপনার প্রিয় মানুষ গুলোকে ঘরে বসেই দিতে পারেন  রেস্টুরেন্ট এর স্বাদ। এবার দশমী আরও সুন্দর হয়ে ওঠুক মনটিকারলো আইসক্রিম এর সাথে।

শুভ বিজয়াদশমীর অনেক শুভেচ্ছা