Sangbad Ekalavya:
স্টেশনে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়' গেয়ে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে রাণু মন্ডল এখন রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন! বলিউডে গান গেয়ে এখন রীতিমতো সেলেব রাণু। তবে মা যে গান গাইতে পারেন সেই বিষয়ে নাকি কোনও ধারণাই ছিল না রাণু মণ্ডলের কন্যা এলিজাবেথ সাথী রায়ের। বৃদ্ধা বয়সে মাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগে এলিজাবেথ সাথী রায় ইন্টারনেটে সমালোচনার মুখে পড়েন। যদিও তিনি আইএএনএসকে জানান যে, যতটা সম্ভব মায়ের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি এবং বলেন তাঁর নিজেরও লড়াই রয়েছে। রানু মন্ডলের চার সন্তানের এক এলিজাবেথ সাথী রায় বলেন যে তিনি একজন সিঙ্গল মাদার এবং একটি ছোট মুদি দোকান চালান। তিনি তাঁর মাকে বেশ কয়েকবার নিজের কাছে থাকতে বলেছেন কিন্তু রাণু তা প্রত্যাখ্যান করেন।
রাণু মন্ডলের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়' গানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই রিয়েলিটি শো সুপারস্টার সিঙ্গারে গাওয়ার জন্য গায়ক সুরকার হিমেশ রেশমিয়া আমন্ত্রণ জানান তাঁকে। ৫৯ বছরের রাণু মণ্ডল হিমেশের আগামী সিনেমা ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির'এর জন্য আদত এবং তেরি মেরি কাহানি গান রেকর্ড করেছেন।
এলিজাবেথ সাথী রায় আরও বলেন যে, রাণু মন্ডল দ্বিতীয় বিয়ের পরে কলকাতা থেকে মুম্বই চলে যান। সেখানে তিনি তার পরিবারের সাথে থাকতেন। “আমি মা'কে যেভাবে পারি সমর্থন করার চেষ্টা করেছি। প্রতিবার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আমি তাঁর জন্য খাবার ও টাকাপয়সা নিয়ে যেতাম...আমি হয়তো মায়ের সঙ্গে থাকতাম না, তবে আমার সাধ্যমতো যত্ন নিয়েছি,” জানান এলিজাবেথ! এলিজাবেথ সাথী রায় রানাঘাটের আমরা সবাই শয়তান ক্লাবের সদস্যদেরও দোষ দিয়েছেন। এই ক্লাব তাঁর মায়ের দেখাশোনা করত, এবং রাণু মন্ডলের থেকে দূরে থাকতে তাঁকে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ।
“মনে হচ্ছে যেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী এবং তপন দাশ (ক্লাব সদস্য) আমার মায়ের নিজের ছেলে। তাঁরা এবং ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা আমাকে মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার পা ভেঙে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। ওরা আমাকে ফোনেও মা'র সঙ্গে কথা বলতে দেয় না। ওরা আমার বিরুদ্ধে মা'র মগজধোলাই করছে। আমি অসহায় বোধ করি... তপন ও অতীন্দ্র খ্যাতি চায়, তাই ওরা আমাকে সরাচ্ছে... তপন আমার মায়ের কাছ থেকে টাকা নেয় রোজকারের জিনিস কিনে দেওয়ার অজুহাতে। ওরা মা'র অ্যাকাউন্ট থেকে ১০,০০০ টাকা নিয়েছে আর মায়ের জন্য কেবল একটা স্যুটকেস এবং কয়েকটা নাইটি কিনে দিয়েছে।”
“যদিও সবাই আমাকে দোষ দিচ্ছে, তবুও আমি মায়ের পাশেই থাকব। আমি মা'কে অনুরোধ করব আমার সঙ্গে সিউড়িতে থাকতে, তবে আমি কখনই জোর করব না... তিনি জীবনের অনেকটা সময় পার করেছেন এবং অবশেষে স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাঁর ঈশ্বরপ্রদত্ত কণ্ঠের জন্য। আমি তার মেয়ে হিসাবে গর্বিত,” জানান রাণু তনয়া এলিজাবেথ সাথী রায়।
(সংবাদ একলব্য এই সংবাদ সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
(সংবাদ একলব্য এই সংবাদ সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊