Sangbad Ekalavya:
‘ডাক হচ্ছে। আর চা খাচ্ছে। চা খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ আসছে। যার কাছে চিঠি আসছে তার বিপি বেড়ে যাচ্ছে। সিবিআই, ইডি অফিস থেকে প্রেমপত্র আসছে। আর নেতারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে। আসলে ওদের সুগার ও বিপি বেড়ে যাচ্ছে। তবে এটা তো সবে শুরু হয়েছে। দেখুন না আরও কতজনের নামে চিঠি আসবে। অনেকেরই পুজো দেখা হবে না। দুর্গাপুজোর সময় ভুবনেশ্বর কিংবা কটকে থাকতে হবে। আর জগন্নাথ দর্শন করতে হবে। পুজো দেখা হবে না। গরীব লোকের টাকা ঝাড়া। গ্রাম থেকে অনেক সবজিওয়ালা ও ভ্যানওয়ালা সারদায় টাকা রেখেছিলেন। তা জমিয়ে কেউ কাঁচাবাড়িতে পাকা ছাদ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কেউ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য তো কেউ আবার ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা রাখছিলেন। কিন্তু, সব ঝেড়ে ফাঁক করে দিল। একলক্ষ কোটি টাকা গায়েব হয়ে গেল। আমরা জানি অনেকের চকচকে গাড়ি, বাড়ি, দামি জামাকাপড় ও বৌয়ের গলায় তিনটে হার সব ওই টাকায় হয়েছে। গরীব মানুষের টাকায় ফুটানি মারা হচ্ছে। কিন্তু, আমরা ঠিক করেছি কাউকে ভোগ করতে দেব না। গরীবের মারা টাকা ফিরিয়ে নাকে খত দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। না হলে ছোট নেতা হলে কৃষ্ণনগর, আলিপুর আর বড় নেতা হলে কটক কিংবা ভুবনেশ্বর জেলে ভাত খেতে হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। যা বলেছি তাই করব। চিদম্বরমের মতো অত বড় নেতা যিনি মন্ত্রী ছিলেন। তিনিও এখন সিবিআই থেকে পালাতে চাইছেন। আর লালুপ্রসাদ তো জেলেই রয়েছেন।’
গতকাল এভাবেই বক্তব্য রাখলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার করিমপুরে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিস্তারিত শুনুন ভিডিওতে-



(ছবিটি প্রতীকী)