২০১৪-এ একজন ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে স্টিং অপারেশনটি করেন ম্যাথু স্যামুয়েলস, অনেক তৃণমূল নেতাকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ৫২ ঘন্টার ভিডিও ফুটেজে, ১৩জন ব্যক্তিকে মোট ৬০.৫ লক্ষ টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
নারদ মামলায় আইপিএস সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে গ্রেফতার করল সিবিআই । নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় এটিই প্রথম গ্রেফতার। এর আগে বেশ কয়েকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। আদালতে পেশ করে, মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। আইপিএস অফিসারের আইনজীবী বলেন, যখনই তাঁকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত সহযোগিতা করেছেন তিনি। এর আগে নারদকাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখা।
এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা তাঁকে জেরা করি। আজ, আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা তাঁকে গ্রেফতার করি। নারদ মামলায় তিনি অন্যতম মূল যোগাযোগকারী”। সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, “আগে তাঁকে আটবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তবে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আমাদের হাতে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে”।
সেখানেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং এক আইপিএস আধিকারিকের থেকে কিছু সুবিধা নেওয়ার পরিবর্তে টাকা নিতে দেখা যায়। নারদ স্ট্রিং অপারেশনের সময় অবিভক্ত বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছিলেন মির্জা।
২০১৬-এর নারদ স্টিং অপারেশনটি প্রকাশ্যে আসে, প্রথমসারির একাধিক তৃণমূলনেতা ও মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল এক ছদ্মবেশী ব্যবসায়ীর থেকে। ব্যবসায়ীক সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। গ্রেফতারের পর, তাঁকে তোলা হয়।
নারদ নিউজের তরফে যখন, ম্যাথু স্যামুয়েলস স্টিং অপারেশনটি করেন, সেই সময় অবিভক্ত বর্ধমানের পুলিশ পদে কর্মরত ছিলেন এসএমএইচ মির্জা।রাজনীতিকদের নাম করে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
যে ১৩ জনকে নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছে সাতজন সাংসদ, একজন বিধায়ক, এবং একজন আইপিএস অফিসার। সাতজন সাংসদের মধ্যে ছিলেন সুলতান আহমেদ, তিনি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। ২০১৭-এ বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। চারজনমন্ত্রীর মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় ১৪ অগস্ট বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
গতমাসে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিং এর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় এসএমএইচ মির্জাকে। নিজের দলের বিরুদ্ধেই স্টিং অপারেশনের টাকা জোগানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তরে ম্যাথু স্যামুয়েল বলেন, “তিনি বিশেষ করে আমায় বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর জোর দিতে”।
(সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সরাসরি সংগৃহীত)
(সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সরাসরি সংগৃহীত)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊