তুফান রায়ঃ
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অর্থানুকূল্যে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার মুখ্য আহ্বায়ক হিসাবে কুশমন্ডি সরকারি মহাবিদ্যালয় আয়োজিত 'পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন" শীর্ষক এক দিবসীয় রাজ্য স্তরের আলোচনাচক্রে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক উৎপল মন্ডল(বাংলা বিভাগ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় (বাংলা বিভাগ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক কান্তিলাল দাস (দর্শন বিভাগ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় (ইতিহাস বিভাগ,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়), ড. কৃষ্ণ গোপাল রায় (প্রাক্তন অধ্যক্ষ, চাপড়া বাঙ্গালঝি মহাবিদ্যালয়) শ্রী দেবাশীষ লাহা (লেখক ও শিক্ষাবিদ) প্রমুখ।
তাঁদের আলোচনায় উঠে এসেছে নবজাগরণের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বিদ্যাসাগরের কর্মকান্ড, রক্ষনশীল হিন্দু সমাজের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কেমন করে তিনি সমাজ-সংস্কারে মনোনিবেশ করেছিলেন, বৈধব্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য বিধবা বিবাহ প্রচলন করেছিলেন। কেমন করে বিদ্যাসাগর ইংরেজদের বিরোধিতা না করে ইংরেজদের দিয়ে বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করে নিয়েছিলেন, বিধবা বিবাহ আইন সিদ্ধ করেছিলেন প্রভৃতি।
অধ্যাপক উৎপল মন্ডল সমাজ সংস্কারক বিদ্যাসাগর নিয়ে বলেন বিদ্যাসাগর পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হলেও পরাশর সংহিতা দিয়েই সকলকে বোঝাতে চেয়েছেন বিধবা বিবাহ শাস্ত্র সম্মত। উনিশ শতকে বিদ্যাসাগর মেদিনীপুরের এক গ্রাম থেকে উঠে এসে কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে প্রবল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একা লড়াই করেছেন বহুবিবাহ বন্ধ করার জন্য। কতটা অনমনীয় চরিত্র ছিলেন বিদ্যাসাগর তা তুলে ধরেন তিনি। তিনি আরও জানান, 'পুরুষদের মধ্যে নারী স্বাধীনতা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেছেন যিনি তিনি হলেন বিদ্যাসাগর।'
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊