দেবাশীষ দাশ দেবুঃ
মানুষ হিসাবে মানুষকে দেখতে হবে।আদিবাসীদের মানুষ হিসাবে দেখলে তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব কমে যাবে।বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ।এ দেশের সাথে ভারতের আদিবাসীদের পার্থক্য অভিন্ন।আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের দাবি দাওয়া সমাধান করা সম্ভব।গত ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটী এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানের পূর্বে আদিবাসীদের একটি সুসজ্জিত রেলী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে উপস্হিত হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ইন্দ্রাণী মোদকের কণ্ঠে সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন করেন প্রধান অতিথিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রিসিলা মুমুর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন 'অবলম্বন'-এর নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী। তিনি তার বক্তব্যে আদিবাসীদের অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী-বাঙালী একত্রে কাজ করে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন।পরে আদিবাসী যুব নেতা তেরেসা সারেন তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত সাঁওতালি ভাষায় তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি রুমিলা হেমব্রন পাঠ করে শোনানোর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব আলমগির কবীরের হাতে তুলে দেন।উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব সালাম আজাদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব আলমগির কবীর,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল আউয়াল,আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদেরর আহব্বায়ক এ্যাড:-সিরাজুল ইসলাম বাবু,অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম প্রমূখ।
শেষে রুমিলা হেমব্রন এর সঞ্চালনায় আদিবাসীদের সাঁওতালি নাচ গান পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য যে,অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশতাধিক আদিবাসী অংশগ্রহণ করে উৎসবটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊