হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ (এইচআরডব্লু)-র প্রকাশিত তথ্য বলছে, অরণ্য ধ্বংস করতে কাজে লাগানো হয়েছিল অপরাধী চক্রকে। এর যারাই প্রতিবাদ করত, হিংসার আশ্রয়ে তাদের ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিল করত অপরাধীরা। ব্রাজিল সরকার না এই প্রতিবাদীদের রক্ষা করতে পেরেছে, না অ্যামাজনকে রক্ষা করতে পেরেছে।
রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, কাজ হাসিল করতে সশস্ত্র দুষ্কৃতী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে তাদের হাতে নিহত হয়েছেন প্রতিবাদীরা। হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের পক্ষ থেকে প্রায় ২০০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তত ৬০ জন এলাকার আদি বাসিন্দা। এর সঙ্গে বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার পরেই এই তথ্য প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ। অন্তত ৪৮টি খুন, চারটি খুনের প্রচেষ্টা এবং ৪০-এর ওপর হুমকির ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে এই তথ্যে। প্রথম দিন থেকেই দাবি করা হয়েছিল, মানুষই লাগিয়েছে, তা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট নয়। চাষের জন্য, বিশেষ করে সয়াবিন চাষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলেই এই অগ্নিসংযোগ বলে দাবি করা হয়েছিল।
১৬৫ পাতার এই রিপোর্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেনফরেস্ট মাফিয়াস: হাউ ভায়োলেন্স অ্যান্ড ইম্পিউনিটি ফুয়েল ডিফরেস্টেশন ইন ব্রাজিল্স অ্যামাজন’। এতে মাফিয়াদের কার্যকলাপ এবং সরকারের ব্যর্থতার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের পরিবেশ এবং মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশক ড্যানিয়েল উইলকিনসন বলেছেন, ‘যে সমস্ত ব্রাজিলীয় অ্যামাজনকে রক্ষা করতে চায় তাঁদের হুমকি এবং আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। জায়ের বলসোনারো অধীনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে, দেশের পরিবেশ রক্ষাকারী সংস্থাগুলির ওপর তাঁর আক্রমণ বর্ষাবন এবং সেখানকার অধিবাসীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
(সংবাদটি সংবাদ একলব্য সম্পাদনা করেনি, নিউজফিড থেকে সংগৃহীত)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊