রাজ্যের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে স্টাফ প্যাটার্ন নিয়ে এক অভূতপূর্ব এক আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে, তার কোন সঠিক উত্তর মিলছে না। এত দ্রুত স্টাফ প্যাটার্ন জমা দিতে গিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিশৃংখলাও তৈরী হচ্ছে ।

শিক্ষকদের অভিযোগ যারা নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদেরকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম উচ্চ প্রাথমিকে বদলি ফরমান দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বদলির ভিত্তিতে স্টাফ প্যাটার্ন তৈরির দায়িত্ব প্রধান শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে। তা তৈরি করে শিক্ষা দপ্তরের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

জানাযায়- এ পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষকদের বেশিরভাগকেই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বেতন কাঠামো নির্ধারিত হয়েছে। অনেকদিন ধরেই শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি তার অভাবে বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াতে হয়। সাধারণ বোঝাপড়ার ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্লাস রুটিন করে দেন প্রধান শিক্ষক। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি ক্লাস ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত পড়ান তাতে শিক্ষকের ক্যাটেগরি বদলে যায় না। স্কুল শিক্ষা দপ্তর প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমানে যারা পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াচ্ছেন তাদের উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে স্কুলের স্টাফ প্যাটার্ন তৈরি করে তা জমা দিতে হবে।


শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-এর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন প্রেসকে জানিয়েছেন স্কুলের পঠন-পাঠন চালু রাখার জন্য প্রধান শিক্ষকরা মাধ্যমিক শিক্ষকদের উচ্চ প্রাথমিকে ক্লাস করাতে বলেন তাতে সব শিক্ষকের আপত্তি থাকে না মাধ্যমিক শিক্ষকদের যদি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের যদি উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে সরকারি নথি করে প্রধান শিক্ষক শিক্ষা দপ্তরের পাঠান তাহলে সেই মাধ্যমিক শিক্ষক রাতারাতি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হবেন?

প্রশ্ন উঠেছে এভাবে শিক্ষকদেরকে বদলে দেওয়ার অধিকার প্রধান শিক্ষকের নেই- সে দায় কেন প্রধান শিক্ষকরা নেবেন? সাথে শিক্ষকদের দাবি নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোনভাবে উচ্চ প্রাথমিকে বদলি করা যাবে না। তারা কোন সেকশনে যুক্ত হবেন সে বিষয়ে সরকারকে যুক্তিসহকারে যুক্তিসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করতে হবে। প্রধান শিক্ষকের উপর দায়িত্ব চাপালেই হবে না। সরকারি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা এবং তাঁদের পে-প্রটেকশনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়ে যেতে হবে। 


এই বিষয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ আন্দোলন শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে। এবিটিএ-এর কোচবিহার জেলা সহসভাপতি খগেন্দ্রনাথ সরকার বলেন- 
এই ওয়েব এনাবেল স্টাফ প্যাটার্ন এক জটিলতার সৃষ্টি করেছে। শুধু জটিলতাই নয় আগামীতে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানেই আঘাত করা হলও এই নতুন স্টাফ প্যাটার্ন দ্বারা।
তিনি আরও জানান-  'আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য করছি যে অনেক উচ্চতরডিগ্রি সম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারা আপার প্রাইমারি ষ্টাফ প্যাটার্ণের স্থান পেয়েছেন। আগামী দিনে তাদের পে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে । কোনভাবেই তাদের বেতনক্রম থেকে নিচে র বেতনক্রম এ  নামানো যাবে না । ষ্টাফ প্যাটার্ণের দোহাই দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সারপ্লাস দেখিয়ে কোনোভাবেই বদলি করা চলবে না।' 

গতকাল ওয়েব এনাবেল স্টাফ প্যাটার্নের প্রতিবাদে কুচবিহারের D.I.মারফত শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি কুচবিহার জেলা শাখা। ডেপুটেশন প্রদান করবার পর আমাদের মুখোমুখি এ বি টি এ কুচবিহার জেলা সম্পাদক সুজিত দাস। কি বললেন তিনি শুনেনিন ভিডিওতে-