ছবির দুটি চোখ
দীপশিখা দত্ত

উনি বলেছিলেন মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ,
উনি বলেছিলেন সে বিশ্বাস শেষ অব্দি রক্ষা করবেন।
তবে কি উনি দেখতে পাননি, সেই সব মানুষকে –
এক চোখ হায়না কিংবা নেকড়ে,
অন্য চোখে প্রকার বিশ্বাস, মুখোশের ভরসা জাগানো চাহনি,
আমরা যাদের রোজ দেখি, সামনে কিংবা ফেসবুকে।
যাদের কেমন আছিস! ইস আমাকে তো ভুলেই গিয়েছিস!
জবাবে ফেরাই প্লাস্টিক স্মাইল।
হায়না অথবা নেকরে চোখে ,সহজ শিশুর হাসি।
মহাজন বিশ্বাসী।
একলা মেয়ে পথের ধারে ,খুব গরীব ঘর।
জিলিপি আর সিঙ্গারা খাবি! মুখটা চেপে ধর।
চাকরিটা একেবারে পাকা ,দিলে অল্প কিছু টাকা
সারাজীবন বসে খাবে ,সরল চোখের আশ্বাস।
মনখারাপের বিকেল এল, লিস্টে নাম নেই,
নেকরে চোখ বলে ওঠে, লজ্জা করে না , এভাবে চাকরি চাও।
বন্ধু বলে তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না, যে কোনো দরকারে বলিস।
বাবা ভীষণ অসুক ,টাকা চাই , বন্ধু বলে নেটওয়ার্ক ভীষণ বিজি।
বার বার জিতে যায় নেকড়ে চোখ, হায়না চোখ ।
কার কথা মনে করে একবারও কি জিততে পারে না নকশাকাটা ফুলতোলা আবেগ মালয় ভাষা চোখ।