সংবাদ একলব্য, ৫ আগস্টঃ  ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০(৩)ধারা বাতিল করলো কেন্দ্র । আজ রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।সেই মোতাবেক রাজ্যের অধিকার হারালো জম্মু-কাশ্মীর ।এখন থেকে জম্মু -কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে থাকবে। জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা থাকবে কিন্তু লাদাখ এ কোন বিধানসভা থাকবেনা। সেই প্রস্তাবে সই করলেন রাষ্ট্রপতি । এই মুহূর্তে কাশ্মীর জুড়ে ১৪৪ধারা জারি আছে।
গুলাম নবী আজাদ এর বিরোধিতা করেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে "সংবিধানের কালো দিন"বলে মন্তব্য করেন।
কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী  ওমর আবদুল্লাহ ও  মেহেবুবাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।যাতে নতুন করে কোনো গন্ডগোল না হয়।কাশ্মীরে ইন্টারনেট ,টেলিযোগাযোগ সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সব মিলে কাশ্মীরের অবস্থা এখন থমথমে।
কয়েকদিন আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত বাহিনি মোতায়েন করা শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকের মনেই নাড়া দিয়ে বসেছে যুদ্ধ ঘন্টা। মধ্যরাতে হঠাত করেই গৃহবন্দি করা হল দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে।  ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ কেবল টিভি পরিষেবাও। একই সঙ্গে সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যখন উদ্বিগ্ন দেশ তখন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কাশ্মীর নিয়ে জরুরি বৈঠক করে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ‍্যসভায় কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। বিরোধীদের বিরোধীতা ও হট্টগোলের মাঝেই প্রস্তাবটি কাশ্মীর সংরক্ষন বিল নামে পেশ করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই বিলে সইও করেছেন বলে জানা যায়। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী, কাশ্মীরের অঙ্গরাজ‍্যের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হল। ফলে এই অঞ্চলের মানুষেরা বিশেষ হারাল বিশেষ মর্যাদা। এই উপত‍্যাকাকে দুই ভাগে ভাগ করা হল। যদিও কিছুদিন সোশ‍্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ওঠে কাশ্মীরকে ৩ ভাগে ভাগ করার। কিন্তু ভাগ হল ২ ভাগে। জম্মু কাশ্মীরে পৃথক বিধানসভা থাকলেও তাদের হাতে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষমতাই থাকল। নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকলো কেন্দ্রের হাতেই। কাশ্মীর ও লাদাখ কে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হল। তবে লাদাখে কোনো বিধানসভাই থাকবে না। কাশ্মীর পূর্নগঠনের জন‍্য কমিটি গঠন করা হবে। রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে সংবিধানে ৩৭০ ধারা যুক্ত করা হয় ১৯৫৪ সালে। এই ধারা অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন। এই রাজ্যের বিধানসভায় যে কোনও আইন পাশ করানো যায় যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও অস্থাবর সম্পত্তি কিনতে পারেন না, সরকারি চাকরি পান না এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও পান না। এই ধারাই বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক।