নিউজ ডেস্ক,২ আগস্টঃ গত সোমবার উড়িষ্যা সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা OSIC বা ওড়িশা স্মলস্কেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন লিমিটেড এবং উৎকল মিস্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে - GI নম্বর ৬১২ পেল। এই স্বীকৃতি দিল রেজিস্টার অফ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষে বলরাম দাস লিখিত উড়িষ্যার রামায়ন - যাকে দন্ডি বা জগমোহন রামায়ন বলা হয়ে থাকে যার গান পুরীর মন্দিরে গীত হয় - সেখানে  এই রসোগোল্লার উল্লেখ রয়েছে। 
রসগোল্লা নিয়ে বাংলা এবং ওড়িশার মধ্যে দ্বন্দ্ব শেষ হয়েছিল গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে, যখন রসগোল্লার ওপর জিআই ট্যাগ পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। তবে এবার আর কিন্তু বঞ্চিত রইল বা ওড়িশাও। সোমবার এই জিআই ট্যাগের অধিকারী হল ওড়িশাও।
সোমবার থেকে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগ লাভ করার পর এবার থেকে ওড়িশার আঞ্চলিক মিষ্টি হিসাবে চিহ্নিত হল রসগোল্লা। চেন্নাইয়ের জিআই রেজিস্ট্রি সংস্থার তরফ থেকে এই মর্মেই সংশাপত্র লাভ করেছে ওড়িশা। জানা গিয়েছে এই সংশাপত্রটি ২০২৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর হবে। 
প্রসঙ্গত, ওড়িশ রসগোল্লা জিআই ট্যাগ পাওয়ার পরে কার্যত খুশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। একইভাবে আনন্দিত পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পুরোহিতরাও। তাঁদের কথায় বহু কাল ধরেই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ হিসাবে রসগোল্লা উৎসর্গ করার প্রচলন রয়েছে। তাই এই স্বীকৃতি পাওয়ার স্বভাবতই খুশি তাঁরা।