সংবাদ একলব্য, কলকাতাঃ বুধবার প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্ক ফ্ল্যাটে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই বৈশাখীর অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে কলেজে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে একাধিক বার৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ভিডিও ছড়ানো হয়েছে তাঁকে নিয়ে৷ এমনকি তাঁকে সাম্প্রদায়িক প্রমাণ করবার চেষ্টাও চলছে।
হেনস্থার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একসময় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বৈশাখী। দলের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও রাজ্যের শাসকদলের বিরাগভাজন হন। চাকরিতে ইস্তফার সিদ্ধান্তের জন্য মমতাকেই দায়ী করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে বসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বৈশাখী বলেন, ‘‘দিদিকেই বলতে চাই। আপনি কি সত্যিই নির্দেশ দিয়েছেন যে, সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়ে চাকরি খেয়ে নেবেন! নাকি আপনার নাম করে অন্য কেউ এসব বলছেন’’। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বৈশাখী। কাঁদতে কাঁদতে বৈশাখী এদিন বলেন, ‘‘আমার সম্মান ভূলন্ঠিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব, উষ্মা হলে, ক্রোধ হলে বকুন। কিন্তু, কেন আপনি এই অন্যায় অবিচার করছেন?’’ বৈশাখীর পাশে থেকে এদিন নিজের দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়। 
তৃণমূলকে বিঁধে বৈশাখী বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটাকে বুঝতে পারি না। কেউ আমার কাছে এসে বলে যান, তোমার মাথায় সবসময় আমার আশীর্বাদ থাকবে। তবু তাঁদের হাত ধরেই আবার কিছু নির্মম জিনিস ঘটে যাচ্ছে। বলতে পারব না, তৃণমূল করছে নাকি তৃণমূলের নামে কেউ করছে। ২০০২ সাল থেকে যবে থেকে পড়ানো শুরু করেছি, অত্যাচারিতদের নাম বদলাতে দেখেছি, অত্যাচার বদলাতে দেখিনি’’।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই সাংবাদিক বৈঠক আসলে বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদানেরই ইঙ্গিত।