আনারুল ইসলাম প্রামাণিক, চ্যাংরাবান্ধাঃ জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও তার রাজনৈতিক জীবনের এক অনন্য ভুমিকা আজও মানুষের কাছে চিরস্মরণীয়। পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষকতা আর রাজনৈতিক জীবনে তার প্রয়াত অমর রায় প্রধান ও বন্ধু প্রয়াত বাম মন্ত্রী কমল কান্তি গুহ ছিল তার রাজনৈতিক দলের সাথী, সি পি আই এম দলের নেতাদের মধ্যে রনজীৎ কুমার গুহ, মোফাজ্জল রহমান সদাগর, অরবিন্দ রায় প্রধান প্রমুখ। তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেছি, শিক্ষকতা জীবনের সাথে রাজনৈতিক জীবনের মিল অনেকটাই ছিল সাহিত্যের প্রতি টান যেমনটা ছিল প্রয়াত অমর রায় প্রধানের লেখা, তিনবিঘা করিডোর, সোনা সোনা ধান, বন্দেমাতরম একটি সন্যাস, এই রূপ অসংখ্যা বই যেমন লিখেছেন ঠিক তেমনি শিক্ষক আলিয়ার রহমানের অসংখ্য লেখা ডাইরির পাতায় ভর্তি, তার মাঝেও আজও তার লেখা আকাশবানী বেতার কেন্দ্রে শুনে থাকি, যদিও বর্তমান যুগে রেডিও বিলুপ্তি হলেও তার কাছে আছে এবং সন্ধান পেলে আমারও ভাগ্যে জুটে। তার সামান্য জীবনের পরিচিতি তুলে ধরছি- 
আলিয়ার রহমান প্রামাণিক পিতা-আপ্তাজউদ্দিন প্রামাণিক সাং ১৪১ কামাত চ্যাংরাবান্ধা, জীবন শিক্ষকতা, স্কুলের নাম কামাত চ্যাংরাবান্ধা স্টেট প্লান প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৮৩ সালে মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ সাল এক টানা ১০ বছর সভাপতি পদ দায়িত্ব ভার চালিয়ে গেছেন। তৎকালিন বিধায়ক ছিলেন সদাকান্ত রায় , তিনি এক দিন সরাসরি এসে বলেন সভাপতি সাহেব আপনি বিডিও কে গাড়ি ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না কেন, প্রতি উত্তরে তিনি জানান সরকারি অর্থ ব্যয় করে বিডিও বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রন ক্ষেতে যাবেন এতটা হতে পারে না, তা ছাড়াও তিনি কোন দিন সরকারি গাড়ি ব্যাবহার না করে সাইকেলে আসা যাওয়া করতেন এবং অতিরিক্ত বাচানো তহবিলের অর্থ সমাজের কাজে লাগাতেন। 
আজ তিনি একাগ্রতায় জীবন কাটাচ্ছেন, হাতে কিছু বই আর খাতা কলম, নিয়ে লিখে যান তার ভাবনা শুধু এক টা কথাই বল্লেন -"যার লাগিয়া খাটিয়া মরিলাম, সে আমার আপন হইলো না", কোন সমস্যা দেখা দিলে গ্রামের মানুষের স্বার্থে কাজকে বন্ধ না রেখে সরাসরি তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী ভি পি সিং ও অর্থ মন্ত্রী মধু দন্ডপদের সাথে কথা বলতেন এবং চিঠি লিখে জানিয়ে বড় বড় কাজ করতেন। তার অনরগল ইংরেজিতে কথা বলা এবং হাতের লেখায় অধ্যাপকরাও অবাক হতেন। 
এই মহান সত্যের প্রতিক আলিয়ার রহমান প্রামাণিক বর্তমানে স্ত্রী তারকাছ থেকে চীর বিদায় নেওয়ার পরও তিনি আজ নিজেকে নিসঙ্গ সম্রাট বলে দাবি করে ৭৬ বছর বয়সে আজও রোজ সাইকেল নিয়ে বাজার আসা যাওয়া করেন। আগে যেমন আজও তেমন মাটির মানুষের সাথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অথবা বসিয়ে আড্ডা জমান।