SIR News Update: ভোটার তালিকায় তথ্যগত গলদ নিয়ে কমিশনের কড়া পদক্ষেপ
পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামের ক্ষেত্রে গলদ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকায় এক নাম থাকলেও ২০২৫ সালের এনরোলে অন্য নাম দেখা যাচ্ছে। আবার প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম কখনও বাবার জায়গায়, কখনও মায়ের জায়গায় রয়েছে।
সবচেয়ে বড় অসঙ্গতি হলো বয়সের পার্থক্য। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩০ জন ভোটারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁরা মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবা হয়েছেন। যা বাস্তবসম্মত নয় এবং ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। আরও দেখা গেছে, এক ব্যক্তির ছয়জন সন্তান রয়েছে এমন রেকর্ডের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ১৩৩। আবার প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ জন ভোটারের বয়স তাঁদের ঠাকুরদার চেয়ে ৪০ বছরের কম।
এই ধরনের গলদ মূলত প্রজেনি ম্যাপিং প্রক্রিয়ায় হয়েছে বলে কমিশনের দাবি। একই নাম কখনও বাবার জায়গায়, কখনও মায়ের জায়গায় দেখা যাচ্ছে। ফলে ডেটার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ভোটারের তথ্য যাচাই করা হবে। বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। যদি কোনও তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানির জন্য ডাকা হবে।
আগে সাত দফার যাচাই প্রক্রিয়া চালু ছিল। এবার এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়ার আগে খসড়া তালিকা প্রকাশের আগেই এই যাচাই শুরু হচ্ছে। কমিশনের লক্ষ্য, ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভরযোগ্য ও নিখুঁত করে তোলা।
এই পদক্ষেপকে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে, কারণ ভোটার তালিকার সঠিকতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি। বাবার সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্য যদি মাত্র ১৫ বছর বা তারও কম হয়, তা স্বাভাবিক নয়। তাই এই যাচাইয়ের মাধ্যমে ভোটার তালিকার গলদ দূর করে ভবিষ্যতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করার চেষ্টা চলছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊