Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Primary Case: খারিজ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর রায়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল!

ঐতিহাসিক রায়! ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট 

Highcourt


বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর আগের রায় খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ। ৩২০০০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হলো আজ আর সেই মামলায় অভিজিৎ গাঙ্গুলীর রায়কে খারিজ করে ৩২০০০ হাজার চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত মিত্রের বেঞ্চ জানাল দীর্ঘ নয় বছর পর চাকরি বাতিল করলে সেই পরিবারগুলোর উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সবাইয়ের চাকরি বজায় থাকছে। তবে দুর্নীতির তদন্ত চলবে আগের মতোই। যাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অভিযোগ আছে, তাদের ইনডিভিজুয়াল কেস সিঙ্গেল বেঞ্চে চলবে।

বুধবার বহু প্রতীক্ষিত ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলায় এক যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের রায় খারিজ করে সমস্ত শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে চলছিল আইনি জটিলতা। দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একলপ্তে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়কে খারিজ করে আজ এক বড় স্বস্তি দিল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা মহলে।

আদালতের রায়ের মূল সুর

চাকরি বহাল: ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দীর্ঘ ৯ বছর পর এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হলে সেই শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারগুলির উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে। এই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখা হয়েছে।

তদন্ত চলবে: যদিও চাকরি বহাল থাকছে, তবে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া আগের মতোই জারি থাকবে। আদালত জানিয়েছে, যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যক্তিগত অভিযোগের নিষ্পত্তি: যাদের বিরুদ্ধে নিয়োগে বেনিয়মের ব্যক্তিগত অভিযোগ রয়েছে, তাদের ইনডিভিজুয়াল কেসগুলি সিঙ্গেল বেঞ্চে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

আদালতের এই রায়ে রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকের পরিবারে নেমে এসেছে স্বস্তির ছায়া। রায়ের পর শিক্ষক এবং তাদের আইনজীবীরা জানান, আদালতের রায় শিরোধার্য। একইসঙ্গে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চলবে। বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন এবং যারা এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছে, তাদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার থাকবে আন্দোলনকারীরা।

এই রায় একদিকে যেমন মানবিকতার দিকটি তুলে ধরল, তেমনই স্পষ্ট করে দিল যে, দুর্নীতির তদন্ত চলবে এবং ব্যক্তিগতভাবে দোষী সাব্যস্ত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code