কুয়াশার চাদরে উত্তরবঙ্গ, হু হু করে নামছে পারদ, জাঁকিয়ে শীতের আমেজে তরাই-ডুয়ার্স
নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ: ক্যালেন্ডারের পাতায় শীতের আগমন কিছুটা দেরিতে হলেও, অবশেষে চেনা মেজাজে ফিরল উত্তরবঙ্গ। গত দু’দিন ধরে ঘন কুয়াশার দাপট আর হিমেল হাওয়ায় কার্যত জবুথবু অবস্থা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ারের সমতল এলাকার। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে তিস্তা পাড়ের শহর জলপাইগুড়িও। শুক্রবার বেলা বাড়লেও অনেক জায়গাতেই দেখা মেলেনি সূর্যের। কনকনে ঠান্ডায় উত্তরের প্রাচীন জনপদগুলিতে এখন শুধুই উলের পোশাক আর গরম চায়ের আড্ডা।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ দ্রুত নামতে শুরু করেছে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তবে যেভাবে উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়ছে, তাতে স্থানীয় প্রবীণ নাগরিকদের ধারণা, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে (১০ ডিগ্রির নিচে) নেমে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই ভোরের কুয়াশা মাখা পরিবেশে শরীরচর্চায় মেতেছেন আট থেকে আশি। জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে কোচবিহারের সাগরদিঘির পাড়— সর্বত্রই প্রাতঃভ্রমণকারীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। প্রবীণ নাগরিক মনোজ আগরওয়ালার কথায়, "দেরিতে হলেও এবার শীতটা জাঁকিয়ে পড়েছে। এই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় সকালে হাঁটলে শরীর ও মন দুই-ই চনমনে থাকছে। শীতের এই আমেজ আমরা দারুণ উপভোগ করছি।"
শুধু জলপাইগুড়ি নয়, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের সমতলের পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের পাদদেশেও শীতের দাপট বেড়েছে। এই কনকনে ঠান্ডায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। বড়দিন ও বর্ষবরণের মুখে উত্তরবঙ্গ জুড়ে এই "কোল্ড ওয়েভ" পরিস্থিতি পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও রেল যাতায়াতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। প্রশাসন ও আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে রাতের দিকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।
.webp)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊