টোটো রেজিস্ট্রেশন ঘিরে বিতর্ক, জোর করে চাপ দেওয়ার অভিযোগ, আরটিও-র দ্বারস্থ CITU অনুমোদিত ইউনিয়ন
জলপাইগুড়ি: টোটো চালকদের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক রেজিস্ট্রেশন করানোর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিকদের (RTO) সঙ্গে দেখা করলেন CITU অনুমোদিত ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের সদস্যরা। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সরকার-এর নেতৃত্বে কর্মীরা এদিন আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক সোনম লেপচার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের অভিযোগ জানান।
ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বুধবার জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়নাগুড়ি শহরের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা টোটো চালকদের দাঁড় করিয়ে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং ভয় দেখাচ্ছেন।
CITU অনুমোদিত ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সরকার জানান, তাঁদের লাগাতার আন্দোলনের ফলেই টোটো রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরও কেন পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা টোটো চালকদের এভাবে ভয় দেখাচ্ছেন, তা তাঁদের কাছে বোধগম্য নয়।
শুভাশিস বাবু স্পষ্ট করে দেন যে, কোনো টোটো চালককে জোর করে রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে না। তাঁদের মূল দাবিগুলি হলো:
১. টোটো বা ই-রিকশা নির্বিশেষে মাত্র ৩০০ টাকায় সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
২. বাহন পোর্টালের মাধ্যমে শোরুম থেকে কোনো রেজিস্ট্রেশন করা চলবে না।
তিনি আরও বলেন, এই দাবিগুলি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তাঁদের লড়াই চলছে এবং রাজ্যের পরিবহন দপ্তর দাবিগুলি বিবেচনার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন। কিন্তু তার আগেই পরিবহন দপ্তরের কিছু আধিকারিকের এই ভূমিকা টোটো চালকরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না।
শুভাশিস সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী দিনে যদি কোনো টোটো চালককে এইভাবে হেনস্থা করা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে বৃহত্তর ও লাগাতার আন্দোলন শুরু করা হবে।
এদিনের কর্মসূচিতে শুভাশিস সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুলাল রায়, সুবরন সরকার, তোতাই কর, নারায়ন কুন্ডু, মানিক দত্ত, নিখিল সরকার প্রমুখ।
.webp)
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊