Breaking: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী সুর ফের চড়তে শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সীমান্ত ঘিরে উদ্বেগের আবহে উত্তরবঙ্গের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে আচমকা সফরে এলেন বিএসএফ ডিজি প্রভীন কুমার। তাঁর এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা পাঁচটি জেলা—দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি—জুড়ে প্রায় ১৩০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই অঞ্চলেই নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। বিশেষ করে লালমনিরহাটে চিনের সহায়তায় বায়ুসেনা ঘাঁটি নির্মাণ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের পরিত্যক্ত ঘাঁটি পুনর্গঠনের খবর গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
বিএসএফ ডিজি উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মুকেশ ত্যাগীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানে সীমান্তে অসম্পূর্ণ কাঁটাতারের বেড়া, জমি সংক্রান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশের প্রবণতা এবং উস্কানিমূলক কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ডিজি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
শুনানি কেন্দ্র ও সীমান্ত চৌকিতে উপস্থিত বিএসএফ জওয়ান ও আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নজরদারি আরও বাড়াতে হবে এবং পরিকাঠামোগত ঘাটতি দ্রুত সারাতে হবে। যেসব এলাকায় অনুপ্রবেশ বা মৌলবাদী উস্কানির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে প্রয়োজনে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে চিকেন নেক করিডোরে, যা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও কোচবিহার সংলগ্ন। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সীমান্তের ওপারে আইএসআই পরিকাঠামো বাড়ছে, যা নিরাপত্তা ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
নয়াদিল্লি স্পষ্ট করেছে—বাংলাদেশ পরিস্থিতির জেরে উত্তরবঙ্গ সীমান্তে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হবে না। সেই কারণেই বিএসএফ ডিজির এই সফর এবং কড়া নির্দেশকে কেন্দ্র করে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊