২০২৬ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কড়া পদক্ষেপ: প্রকাশিত হল একাডেমিক ক্যালেন্ডার
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে, যেখানে স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত করতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার-সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে।
নতুন ক্যালেন্ডারে স্কুলের সময়ানুবর্তিতা, ক্লাসের নিয়ম, ছুটির তালিকা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোবাইল ফোন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে স্কুল চত্বরে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও ক্লাসরুম বা ল্যাবরেটরিতে মোবাইল বা ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষার প্রয়োজনে ‘টিচিং এইড’ হিসেবে মোবাইল ব্যবহার করতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
সমস্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলে উপস্থিত থাকতে হবে এবং ১০টা ৪০ মিনিটের প্রার্থনা সভায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের আগে কেউ স্কুল ছাড়তে পারবেন না, সরকারি দায়িত্ব না থাকলে।
ছাত্রছাত্রীদের ওপর শারীরিক বা মানসিক শাস্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে সংশোধনমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে আচরণগত উন্নতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট টিউশন বা ব্যক্তিগত ব্যবসায় শিক্ষকদের যুক্ত থাকার বিষয়ে ফের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পুরনো পাঠ্যবই নতুন ক্লাসে ওঠার পর স্কুলে ফেরত দিতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা সেই বইগুলি নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবেন।
পর্ষদ জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ২০২৬-এর একাডেমিক ক্যালেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে পর্ষদ ।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊