বড়দিন মানেই কেক, নামী সংস্থাকে টেক্কা দিচ্ছে রানাঘাটের বেকারিগুলি
আর কয়েকদিন পরই বড়দিন। আর বড়দিন মানেই কেক। ক্রিসমাসের উৎসবকে সামনে রেখে এখন ব্যস্ততার চরমে রানাঘাট-সহ নদীয়ার বিভিন্ন এলাকার বেকারিগুলি। বড় বড় নামী কেক কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রস্তুত স্থানীয় বেকারিগুলির তৈরি কেক। সাধ্যের মধ্যে দাম রেখে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছেও বড়দিনের আনন্দ পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে এই বেকারী কেক।
বেকারী মালিকদের কথায়, ক্রেতাদের সামর্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কেক তৈরি করা হচ্ছে। অনেকেই আবার নিজের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার দিয়ে কেক তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। উৎসবের মরশুমে চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে বেকারির কর্মীরা রাতদিন এক করে কেক তৈরিতে ব্যস্ত।
বড়দিনকে কেন্দ্র করে বাড়তি চাহিদা সামলাতে অস্থায়ী কর্মীও নিয়োগ করতে হচ্ছে বেকারিগুলিতে। মূলত নভেম্বর ও ডিসেম্বর—এই দুই মাস কাজ করেন এই অস্থায়ী কর্মীরা। কেক বানানো, প্যাকিং, বাক্সবন্দি করার কাজ করে এই সময় কিছুটা বাড়তি রোজগারের সুযোগ পান তাঁরা। অন্যদিকে এই দুই মাসে বেকারির কারবারিরাও তুলনামূলক বেশি আয়ের মুখ দেখেন।
বিগত কয়েক বছর ধরেই রানাঘাটের বেকারিগুলি নিয়মিত কেক তৈরি করে আসছে। মফঃস্বলের এই কেক সারা বছরই কমবেশি বিক্রি হলেও বড়দিনের সময় বিক্রি থাকে দুর্দান্ত। ফলে এখন কার্যত দম ফেলার সময় নেই বেকারী কর্মীদের।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বেকারিগুলি নানা স্বাদের, নানা উপাদানে তৈরি কেক বাজারে আনছে—যাতে ক্রেতাদের মন জয় করা যায় এবং নামী কেক কোম্পানির সঙ্গে সমানতালে টেক্কা দেওয়া যায়। এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নদীয়া, রানাঘাট ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড় উৎসব হলেও বড়দিন আজ আর শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবে সামিল হন। আর সেই উৎসবের কেন্দ্রে রয়েছে কেক। নামী কেক কেনা সবার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় অনেকেই ভরসা রাখছেন স্থানীয় বেকারির উপর। সেই ভরসাতেই এ বছর লাভের মুখ দেখার আশায় বুক বাঁধছেন নদীয়ার বেকারী ব্যবসায়ীরা।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊