Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'সাম্মানিক ডি.লিট' প্রদান করলো জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'সাম্মানিক ডি.লিট' প্রদান করলো জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়


mamata banerjee get honorary dlite from wakayama university



পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নারী-ক্ষমতায়ন, শান্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দেওয়া বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ জাপানের ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয় “অনারারি ডি’লাইট” উপাধিতে ভূষিত করেছে। বুধবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি সত্যিই অভিভূত। শান্তি, সম্প্রীতি, সংস্কৃতির জন্য জাপান সকলের কাছে এক উদাহরণ।” তিনি আরও জানান, “বাংলা-জাপান বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করে চলেছে। আমি আশা করি এ ধরনের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।” এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী-জাপান সম্পর্কের পাশাপাশি বাংলার শিল্প ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের প্রসারকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলছেন, বিদেশি সংস্থা যেমন জাপানের মিৎসুিবি, জাইকার মতো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বাংলায় বিনিয়োগ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও গতি পাবে।

তিনি বলেন, “একসময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপানে গিয়েছিলেন। সকলের মনে রয়েছে। স্বাধীনতার আগে স্বামী বিবেকানন্দ জাপানে গিয়েছিলেন। রাসবিহারী বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও গিয়েছিলেন। নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবে ইতিহাস ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে আপনাদের একটি ইউনিট রয়েছে।”

এই সম্মাননার মাধ্যমে বাংলা-জাপান শিক্ষাবিদ্যা ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের আরও গভীরতা পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কেন জাপানের প্রতিনিধিরা বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে সম্মানিত করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে, সে কারণও স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জাপানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এত ইতিবাচক। নভেম্বরে এই অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল আপনি জাপানে না আসলে, আমরা যাব। আপনারাই বলুন কীভাবে প্রত্যাখ্যান করব? কীভাবে বলব আসবেন না? তাই তো তাঁদের অভ্যর্থনা জানাই। এটা একজন মানুষ হিসাবে নৈতিকতা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সত্য়ি আপনাদের দেখে আমি মুগ্ধ।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code