দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেপ্তার বিডিওর গাড়িচালক ও বন্ধু, তদন্তে নীলবাতি গাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ
দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই অভিযুক্ত। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গাড়িচালক রাজু ঢালি এবং তাঁর বন্ধু তুফান থাপাকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নিহত স্বপন কামিল্যা পশ্চিম মেদিনীপুরের দিলামাটিয়া এলাকার বাসিন্দা। দত্তাবাদে তাঁর সোনার গয়নার দোকান ছিল। পরিবারের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। পরদিন নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ছবি দেখে দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বপনবাবুকে।
এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অভিযোগ, দিনকয়েক আগে তাঁর বাড়ি থেকে কিছু গয়না চুরি যায়, যা স্বপনের দোকানে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করেন বিডিও। সেই সূত্রেই প্রথমবার দত্তাবাদে আসেন তিনি। ২৮ অক্টোবর ফের একটি নীলবাতি গাড়ি করে দোকানের সামনে আসেন বিডিও। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সেই গাড়ি থেকেই স্বপনবাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই অন্তরালে চলে যান বিডিও।
শুক্রবার তিনি প্রকাশ্যে এসে অপহরণ ও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু তার পরদিনই গ্রেপ্তার হন তাঁর গাড়িচালক ও বন্ধু। তদন্তকারীদের হাতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে নীলবাতি গাড়ির উপস্থিতি এবং দেহ লোপাটের দৃশ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। নিহতের পরিবার এখন বিডিও প্রশান্ত বর্মনের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব।
এই ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একজন সরকারি আধিকারিকের নাম জড়ানোয় তদন্ত আরও জটিল হয়ে উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন হলে বিডিওকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊