Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাশে অনুগামীরা, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় !

পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাশে অনুগামীরা, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় ! 

Cooch Behar, Rabindranath Ghosh, TMC, Trinamool Congress, Mamata Banerjee, Abhishek Banerjee, Sourav Buxy, Mayor resignation, Trinamool factionalism, District President, Rabindranath Ghosh supporters, Partha Pratim Ray, Khokon Mia


কোচবিহার: কোচবিহার পৌরসভার পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে পদত্যাগ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির নির্দেশ ঘিরে জেলা রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশ মানতে নারাজ বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরা এবার দলীয় প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী-কে লিখিতভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানাবেন।

সোমবার কোচবিহার শহরে তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে এক গুরুত্বপূর্ণ সভার পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূল ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের কোচবিহার জেলা সভাপতি খোকন মিয়া, আইএনটিটিইউসি কোচবিহার জেলা প্রাক্তন সভাপতি পরিমল বর্মন, এবং স্বয়ং পার্থপ্রতিম রায়।

সম্প্রতি তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে পৌরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে জেলা সভাপতির নির্দেশে হলদিবাড়ি, মাথাভাঙ্গা এবং তুফানগঞ্জের কয়েকজন পৌর প্রধান ও উপপ্রধান পদত্যাগ করলেও, কোচবিহার পৌরসভার পৌরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই নির্দেশ মানতে স্পষ্টতই অস্বীকার করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, জেলা সভাপতির তাঁকে নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ না পেলে তিনি পদত্যাগ করবেন না। খবর অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত পদত্যাগের শেষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরা কোমর বেঁধে নেমেছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরা এই নির্দেশকে দলের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন। তৃণমূল ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি খোকন মিয়া বলেন, "রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মতন দক্ষ প্রশাসক, যিনি রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা বা অনাস্থা আনা হলে দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি।"

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ মনে করেন, দল গড়ে ওঠার সময় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নেতৃত্বের ভূমিকা থাকলেও, দলের সিদ্ধান্ত মানাটাই কর্তব্য।

বর্তমানে সকলের নজর ১৯ তারিখের দিকে, যখন পদত্যাগের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কোচবিহারের এই গোষ্ঠী কোন্দল শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code