হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা, কমছে চাহিদা ও ফলন
একসময় দুর্গাপূজা থেকে শুরু করে অন্যান্য সময়েও জলপাইগুড়ির বাজারে যে শাপলা ফুলের বেশ কদর ছিল, তা আজ অতীত। এখন বাজারে শাপলা ফুলের বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, শুধু চাহিদাই নয়, কমে গেছে নরম এই জলজ গাছের ফলনও। পুজো শেষ হলেও এখন শাপলা ফুলের সেই পরিচিত দৃশ্য বাজারে আর চোখে পড়ছে না।
সাধারণত দূর্গাপূজার আগেই শাপলা গাছের ফলন বাজারে উঠতো এবং বিক্রি হতো। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় সামান্য কিছু শাপলা বিক্রি হলেও তাতে ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, শাপলা ফুলের চাহিদা এখন একেবারেই তলানিতে।
শাপলা ফুল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুকুরেও শাপলা ফুলের দেখা মিলছে কম। আগে যে পরিমাণ শাপলা পুকুরে পাওয়া যেতো, এখন তা প্রায় নেই। বিক্রেতারা বলছেন, "পুকুরে শাপলা ফুল এখন দেখাই যায় না। তবুও দু এক জায়গায় সামান্য পরিমাণে শাপলা হয়েছিল, আর সেগুলো এখানে এনে আমরা বিক্রি করছি। তবে পুজোর আগে শাপলা ফুলের চাহিদা বেশ কিছুটা থাকলেও এখন একেবারেই নেই।"
শাপলা ফুলের এই বিলুপ্তি বা ফলন কমে যাওয়ার পেছনে প্রধানত জলাশয় কমে যাওয়া, পুকুর ভরাট, এবং আধুনিক কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছা নাশক ওষুধের ব্যবহারকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশের এই পরিবর্তন শুধু শাপলা ফুলের ঐতিহ্যকেই মুছে দিচ্ছে না, একই সঙ্গে জলজ বাস্তুতন্ত্রের উপরও এর প্রভাব ফেলছে। জাতীয় ফুল শাপলাকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই যদি কোনো উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে এটি কেবলই স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊