প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি, ৬ অক্টোবর, ২০২৫: অতি ভারী বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে জলপাইগুড়ি জেলা। কালীঝোরা তিস্তা ব্যারেজ থেকে এক লহমায় ৫৫০০ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে নাগরাকাটা থানা সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়।
বাঁধের জলে ভাসছে নাগরাকাটা
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, নাগরাকাটা এলাকায় অবস্থিত এসএসবি ক্যাম্পটি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, এলাকার গুরুত্বপূর্ণ লাল পুলটি জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছে, যার ফলে স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধারকাজে NDRF ও সিভিল ডিফেন্স, বিধায়কের কণ্ঠে উদ্বেগ
এলাকার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ভোর হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। জলের তীব্র স্রোত এবং প্রতিকূলতার মধ্যেই তারা জলবন্দী মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসক সামা পারভিন জানিয়েছেন, নাগরাকাটা এলাকায় উদ্ধার কার্য পরিচালনার জন্য সবরকম উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেঙরা রবিবার সকালে টেলিফোনে জানান, এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বন্যা কবলিতদের দ্রুত ত্রাণ এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
উত্তরবঙ্গে জারি অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
আবহাওয়া দফতর আগেই অতি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার রাত থেকেই সিকিমের উত্তর ভাগ সহ কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি চলছে। এর ফলেই তিস্তা, জলঢাকা সহ অন্যান্য নদীর জলস্তর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দলগুলো একযোগে কাজ করে চলেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊