Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

জলবন্দী মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল, ওয়ার্ডে জল পেরিয়ে চলছে চিকিৎসা, ক্ষোভে রোগী ও পরিজন

জলবন্দী মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল, ওয়ার্ডে জল পেরিয়ে চলছে চিকিৎসা, ক্ষোভে রোগী ও পরিজন

জলবন্দী মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল, ওয়ার্ডে জল পেরিয়ে চলছে চিকিৎসা, ক্ষোভে রোগী ও পরিজন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাথাভাঙা:

রাতভর লাগাতার ভারী বর্ষণের জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে (Male Ward) হাঁটুসমান জল জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী, তাঁদের পরিজন এবং কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা। অপরিষ্কার জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া একটানা বৃষ্টির ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের মেঝে সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বেডের নিচেও জল জমে যাওয়ায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাঁদের দেখতে আসা পরিজনেরা। জল ডিঙিয়ে টয়লেট বা অন্যান্য প্রয়োজনে বাইরে যেতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগীর পরিজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "হাসপাতালে এসে যদি নোংরা জলে ডুবে থাকতে হয়, তাহলে আমাদের রোগ কমার বদলে বাড়বে। বর্ষা এলেই এই একই সমস্যা শুরু হয়। জলের মধ্যে দিয়েই ডাক্তার ও নার্সরা ডিউটি করছেন, যা দেখে খুবই খারাপ লাগছে।" কর্তব্যরত একাধিক নার্স ও চিকিৎসকও জানান, এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন, এবং সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাসপাতালের বেহাল নিকাশি নালার (Poor Drainage System) কারণেই প্রতি বছর বর্ষাকালে এই ধরনের জল জমার সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালাগুলি সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল উপচে হাসপাতাল চত্বরকে জলমগ্ন করে তোলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বারবার পূর্ত দপ্তরের (PWD) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।

যদিও এহেন পরিস্থিতিতে খবর পেয়ে পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছান এবং জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা শুরু করেন। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাম্প লাগিয়ে দ্রুত জল বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে, শুধু পাম্প দিয়ে জল বের করাই নয়, নিকাশি ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছেন রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, স্থায়ীভাবে নিকাশি নালার সংস্কার না হলে এই দুর্ভোগ চলতেই থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code