Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

বাজি কান্ডের জের ! সরানো হল কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে

বাজি কান্ডের জের ! সরানো হল কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে


বাজি কান্ডের জের ! সরানো হল কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে



সরানো হল কোচবিহারের এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে। তার জায়গায় এসপি করা হল সুদীপ কাঁড়াকে। সম্প্রতি বাজি ফাটানো নিয়ে এসপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও তৈরী হয়। এবার তার জেরেই সরানো হল কোচবিহারের পুলিস সুপারকে। তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটানো নিয়ে বিতর্কের জেরে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি নিজের বাংলোর পাশে বাজি ফাটানো কয়েকজন প্রতিবেশী, যার মধ্যে নাবালক ও মহিলাও ছিলেন, তাঁদেরকে মারধর করেছেন। যদিও এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছিলেন যে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও বাজি পোড়ানো বন্ধ না হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং কাউকে মারধর করা হয়নি।

রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপের ফলে কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সুদীপ কাঁড়া। দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের অপসারণ এবং সুদীপ কাঁড়াকে তাঁর জায়গায় নিযুক্ত করার নির্দেশ জারি হয়েছে।

সূত্রের খবর, কালীপুজোর রাতে কোচবিহার শহরে এসপি-র বাংলো সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী আইনজীবী মল্লিকা কার্জি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, বাজি ফাটানো নিয়ে কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ সুপার এবং কয়েকজন পুলিশকর্মী এসে তাঁদের উপর চড়াও হন ও মারধর করেন। এই ঘটনার পর অভিযোগকারী পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।

পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য অবশ্য ঘটনার দিনই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাত ১০টার পরেও বাজি পোড়ানো হচ্ছিল এবং শব্দ দূষণের জেরে তাঁর পোষ্যরাও আতঙ্কিত হচ্ছিল। তিনি দাবি করেন, তাঁর গার্ডরা গিয়ে নিষেধ করলেও তাঁরা শোনেননি এবং কাউকে মারধর করা হয়নি। দু'পক্ষই তাঁদের দাবির সপক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ থাকার কথা বললেও, পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা তৈরি হয়।

রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন ছিল যে এই বিতর্কের প্রভাব তাঁর প্রশাসনিক পদে পড়তে পারে। শেষ পর্যন্ত, সেই জল্পনাই সত্যি হলো। বাজি বিতর্ককে কেন্দ্র করে পুলিশ সুপারের মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সরানোয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে নতুন এসপি সুদীপ কাঁড়া কোচবিহারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেন, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code