Tuvalu Worlds First Digital Nation: বিশ্বে প্রথম ডিজিটাল রাষ্ট্রের পথে এক ঐতিহাসিক যাত্রা
বিশ্বের মানচিত্রে ক্ষুদ্র এক দ্বীপ রাষ্ট্র টুভ্যালু, এখন জলবায়ু সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে ইতিহাস গড়তে চলেছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দেশটি ক্রমাগত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে টুভ্যালুর অধিকাংশ ভূখণ্ড সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে, টুভ্যালু সরকার ঘোষণা করেছে—তারা বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো—টুভ্যালুর সার্বভৌমত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় পরিচয় ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা। ২০২২ সালে COP27 সম্মেলনে টুভ্যালুর তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফে ঘোষণা দেন, “আমরা ডুবছি, কিন্তু আমাদের পরিচয় হারাতে দেব না।” সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়, দেশটি এখন মেটাভার্সে একটি ভার্চুয়াল সংস্করণ নির্মাণ করছে, যেখানে টুভ্যালুর ভূগোল, ঐতিহ্য, গান, নৃত্য, এবং প্রশাসনিক কাঠামো ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে।
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে টুভ্যালুতে প্রথম ATM স্থাপন এবং জাতীয় ডেবিট কার্ড চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে Falepili Union Treaty স্বাক্ষর করে টুভ্যালু নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন ও চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সমুদ্র আইন (UNCLOS) এর কাঠামোর মধ্যে নতুন প্রশ্ন তুলেছে—একটি রাষ্ট্র যদি ভূখণ্ড হারায়, তবে তার সার্বভৌমত্ব কি কেবল ডিজিটাল মাধ্যমে টিকে থাকতে পারে? টুভ্যালুর এই সাহসী পদক্ষেপ এখন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু-আক্রান্ত দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊