ভারত-মার্কিন সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে ট্রাম্পের আশ্বাস-‘আমি সবসময় মোদির বন্ধু থাকব’
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা এবং সেই সূত্রে আমেরিকার তরফে ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ—এই দুই ইস্যুতে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে এক টানাপোড়েনের পর্যায়ে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার ওভাল অফিসে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। যদিও এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা আমার পছন্দ নয়, তবু ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই, আমাদের মধ্যে মাঝে মাঝে এমন মুহূর্ত আসে”।
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের ভারত-নীতি নিয়ে দ্বৈত অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। একদিকে তিনি মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রশংসা করছেন, অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি নিয়ে প্রকাশ্যে হতাশা জানাচ্ছেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি খুবই হতাশ যে ভারত এত পরিমাণে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। আমরা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি”।
এর আগে ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা যায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। সেই পোস্টে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “মনে হচ্ছে আমরা ভারত এবং রাশিয়াকে চীনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি। তাদের ভবিষ্যৎ দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ হোক!”।
এই মন্তব্যগুলি এমন সময়ে এসেছে যখন ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রয়াস চলছে। ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, বিশেষত রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যে স্পষ্ট যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মোদির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, যদিও নীতিগত স্তরে মতবিরোধ বিদ্যমান।
বিশ্লেষকদের মতে, এই দ্বৈত বার্তা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরছে—যেখানে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এবং কৌশলগত স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনে এই সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে দুই দেশের পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপের উপর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊