নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কীই
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কীই। এদিন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন তিনি। এ বার প্রথম মহিলা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে সুশীলা কার্কী। শুক্রবার রাত সওয়া ৯টায় রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেছেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে এক বিবৃতিতে সে কথা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি নেপাল সরকার ফেসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপ, এক্স-সহ ২৬টি সমাজমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে প্রতিবাদে নামেন ছাত্র-যুবরা। সেখান থেকেই জ্বলতে থাকে নেপাল। চাপে পড়ে শেষমেশ পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। ওলির ইস্তফার পরে প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ পরবর্তী সরকার প্রধান হিসেবে কাঠমান্ডুর নির্দল মেয়র, তথা জনপ্রিয় র্যাপার বছর পঁয়ত্রিশের বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেনের নাম সামনে এনেছিল। কিন্তু বুধবার ঘটনাপ্রবাহের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। নাম আসে সুশীলা কার্কীর। শেষমেশ তিনিই হলেন প্রধানমন্ত্রী।
নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর আমলে, ২০১৬ সালে সুশীলা করকে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবিধান পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী এই নিয়োগ কার্যকর হয়। সুশীলার পেশাগত যাত্রা শুরু হয়েছিল একজন শিক্ষিকা হিসেবে। তবে পরবর্তীতে তিনি আইনজগতে প্রবেশ করেন এবং ২০০৯ সালে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। এরও আগে, ২০০৬ সালে তিনি সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাহসী, দক্ষ এবং সৎ চরিত্রের অধিকারী সুশীলা নেপালের বিচারব্যবস্থায় একজন নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊