ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের উত্তেজনা- ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তানি ড্রোন !
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের উত্তেজনা। শনিবার সন্ধ্যায় জম্মুর আরএস পুরা সেক্টরের জাজোয়াল গ্রামের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ডে একটি পাকিস্তানি ড্রোন প্রবেশ করে। খবর পেয়েই তৎপর হয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (BSF)। চকরোই এবং যুগনুচক সীমান্ত ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকায় শুরু হয় তীব্র তল্লাশি অভিযান।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তের উপর দিয়ে ড্রোনটি উড়তে দেখা যায়। এর পর থেকেই গোটা এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় প্রশাসন নিরাপত্তার কারণে ড্রোন, UAV এবং অন্যান্য আকাশযান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এই ঘটনার আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর সীমান্তের ওপারে সন্দেহজনক তৎপরতা লক্ষ্য করে BSF তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই সময় সীমান্তের বেড়ার কাছে একটি AK-47 রাইফেল এবং একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। সীমান্তে ক্রমাগত এই ধরনের তৎপরতা পাকিস্তানের ঘৃণ্য উদ্দেশ্যকেই সামনে আনছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এদিকে, উধমপুর জেলার দুর্গম দুড্ডু-বসন্তগড় অঞ্চলের সিওজ ধর বন এলাকায় শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া এনকাউন্টার দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত। সেনাবাহিনীর ল্যান্স দফাদার বলদেব চাঁদ গুরুতর আহত হয়ে শনিবার শহীদ হন। তিনি চতুর্থ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য ছিলেন। শহীদের মরদেহ পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তাঁর নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) যৌথভাবে অভিযান চালায়। সেই সময় জঙ্গিরা গুলি চালায়, সংঘর্ষে বলদেব চাঁদ আহত হন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় দুই থেকে তিনজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী এখনও আটকে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং স্নিফার কুকুরের সাহায্যে তল্লাশি চলছে। উধমপুর ও ডোডা—দুই এলাকাতেই নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
এই দুই ঘটনায় স্পষ্ট, সীমান্তে পাকিস্তানের উসকানিমূলক কার্যকলাপ এবং অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ রুখতে ভারতীয় বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। শহীদ বলদেব চাঁদের আত্মত্যাগ এবং BSF-এর তৎপরতা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃঢ়তা ও সাহসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊