Nepal News Today : নেপালে বৃদ্ধি পেল কারফিউ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
Nepal News Today : নেপালে দুই দিনের সহিংস আন্দোলনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শুক্রবার পর্যন্ত কারফিউ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কঠোর কারফিউ বলবৎ থাকবে। তবে জরুরি প্রয়োজনের জন্য সকাল ও সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা করে শিথিলতা দেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলির পদত্যাগের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও রাজধানী কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতার চিহ্ন এখনও স্পষ্ট। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম, দোকানপাট সীমিত সময়ের জন্য খোলা, এবং সেনাবাহিনী দেশের প্রতিটি অঞ্চলে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়েছে, যেকোনো ধরণের বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুরকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত এবং ১,০৬১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭১৯ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং ২৭৪ জন এখনও চিকিৎসাধীন। সহিংসতার সময় দেশজুড়ে ৭,০০০-এরও বেশি বন্দী পালিয়ে যায়, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় প্রশ্ন তুলেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে জনমত বিভক্ত। অনেক বিক্ষোভকারী কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ (বালেন)-কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তাঁদের মতে, পুরনো রাজনৈতিক দলগুলিকে বাদ দিয়ে সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। অন্যদিকে, একটি বড় অংশ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করছেন। তাঁদের যুক্তি, কার্কির প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এই সংকটময় সময়ে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বলেন্দ্র শাহ নিজেও কার্কিকে সমর্থন করেছেন, কারণ তিনি তাঁর থেকে সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ। শাহ স্বীকার করেছেন, তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য প্রস্তুত নন, যদিও জনসমর্থন তাঁর পক্ষে প্রবল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে রামেছাপ জেলা কারাগার থেকে গণহারে পালানোর চেষ্টার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই বন্দী নিহত এবং এক ডজনেরও বেশি আহত হয়। এর আগে, বুধবার পশ্চিম নেপালের একটি কারাগারে সংঘর্ষে পাঁচজন কিশোর বন্দীর মৃত্যু ঘটে।
এই পরিস্থিতিতে নেপাল এক গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত যত দ্রুত নেওয়া যাবে, তত দ্রুত দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊