Facebook, X, Whatsapp এর মতন ২৬ টি স্যোসাল প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করল নেপাল
নেপাল সরকার মোট ২৬টি সামাজিক মাধ্যম এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (পূর্বে টুইটার) এবং হোয়াটসঅ্যাপ। এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে কারণ এই কোম্পানিগুলো নেপাল সরকারের কাছে নিবন্ধিত হতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি আদালত অবমাননার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল যে দেশীয় ও বিদেশি উভয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মকেই দেশে কাজ করার আগে কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে এবং "অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তু" নিরীক্ষণ করতে হবে।
নেপালের যোগাযোগ মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং জানান যে সরকার এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিবন্ধনের জন্য সাত দিনের সময়সীমা দিয়েছিল। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা এই সময়সীমার মধ্যে সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়। সরকার কর্তৃক জারি করা "সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০৮০" অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
১. যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করা।২. নেপালে একজন স্থানীয় যোগাযোগ ব্যক্তি এবং একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করা।৩. স্থানীয় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা স্থাপন করা।
নেপাল সরকার এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, পরিষেবাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে এবং কোম্পানিগুলো যখন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, তখন তাদের পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপটি দেশে সামাজিক মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ছিল।
তবে, এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস এবং অ্যাক্সেস নাউ-এর মতো সংগঠনগুলো এটিকে এক ধরনের ব্যাপক সেন্সরশিপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তারা মনে করে যে এটি শুধু একটি প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নয়, বরং মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর একটি বড় হুমকি। তাদের মতে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্রে সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে দমন করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊