মেয়ো রোডে তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ খুলে দিল সেনা, প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
মেয়ো রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ সেনাবাহিনীর তরফে খুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সোমবার দুপুরে সেনা জওয়ানরা ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে স্থাপিত তৃণমূলের অস্থায়ী সভামঞ্চ খুলে দেয় এবং ত্রিপল ছুঁড়ে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঘটনাস্থল থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করেন এবং সেনার পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেনাবাহিনীর দোষ নেই, তারা আমাদের বন্ধু। কিন্তু বিজেপির নির্দেশে সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, সেনার এই পদক্ষেপ তৃণমূলকে না জানিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে। তিনি আরও বলেন, “আপত্তিজনক কিছু থাকলে আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে দিতাম।”
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ময়দান এলাকায় সর্বোচ্চ দু’দিনের জন্য কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যায়। তৃণমূলের মঞ্চ প্রায় এক মাস ধরে স্থায়ী ছিল, এবং বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তা না খোলায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশকে জানিয়ে সেনা নিজেই কাঠামো সরিয়ে দেয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ওয়ার্ড ও ব্লকে তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন। পাশাপাশি, ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সেখানেই মঙ্গলবার থেকে চলবে ধরনা কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বলার কারণে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচারের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই প্রেক্ষাপটে পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার, যেখানে এক বছর ধরে মাসিক ₹৫০০০ অনুদান দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মেয়ো রোডের এই ঘটনা তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘাতকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। সেনার পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পারদ চড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊