Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

'বকেয়া ডিএ শুধুই টাকা নয়, এটি Res Judicata': সুপ্রিম কোর্টে তুমুল সওয়াল, সুদ ও পেনশনভোগীর মৃত্যুর কথাও উঠল

'বকেয়া ডিএ শুধুই টাকা নয়, এটি Res Judicata': সুপ্রিম কোর্টে তুমুল সওয়াল, সুদ ও পেনশনভোগীর মৃত্যুর কথাও উঠল


৭ আগস্ট, ২০২৫:  ডিএ (DA) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবারের শুনানি ছিল এক উত্তেজনাময় অধ্যায়। মামলাকারী সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা এমন কিছু জোরালো সওয়াল পেশ করেছেন, যা রাজ্যের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

"ডিএ একটি আইনগত অধিকার, Res Judicata": করুণা নন্দী

সরকারি কর্মচারীদের অন্যতম আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিএ সংক্রান্ত বিষয়টি আর নতুন করে আলোচনার বিষয় নয়, এটি Res Judicata। অর্থাৎ, একবার একটি আইনি বিষয় চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে, তা নতুন করে আর বিতর্কিত করা যায় না। করুণা নন্দী বোঝাতে চেয়েছেন যে ডিএ-র আইনি অধিকার অতীতে বিভিন্ন আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই রাজ্য সরকার নতুন করে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না।

পেনশনভোগীর মৃত্যুর কথা ও সুদের দাবি
করুণা নন্দী অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, "এই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের কারণে অনেক পেনশনভোগী তাদের প্রাপ্য ডিএ পাওয়ার আগেই মারা গেছেন।" তিনি আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলেন, "যাঁরা এই দীর্ঘ লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু আজ বেঁচে নেই, তাঁদের প্রাপ্য টাকা কি কেবল 'বকেয়া' হিসেবেই থাকবে?"
এ প্রসঙ্গে তিনি বকেয়া ডিএ-র ওপর সুদ (interest) দাবি করেন। তার বক্তব্য, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কর্মীদের টাকা আটকে রেখেছে। তাই, এই বকেয়া টাকার ওপর যুক্তিসঙ্গত হারে সুদও কর্মীদের প্রাপ্য। এই ধরনের বঞ্চনা এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রয়োজন।

বৈষম্যের অভিযোগ ও আদালতের ভূমিকা
আদালতের বিচারপতিরা এর আগে রাজ্য সরকারের কাছে এই বৈষম্যের কারণ জানতে চেয়েছিলেন যে, কেন পশ্চিমবঙ্গের যে কর্মচারীরা রাজ্যের বাইরে দিল্লি বা চেন্নাইয়ের মতো জায়গায় কর্মরত, তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, অথচ পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত কর্মীরা পান না।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আর্থিক সংকটের যুক্তি দেওয়া হলেও, আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে ডিএ দেওয়ার ভিত্তি হলো অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI), যা রাজ্যের মানা উচিত।

আজকের এই সওয়াল-জবাবের পর আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী। তাঁরা আশা করছেন, আদালত এবার একটি চূড়ান্ত রায় দেবে যা দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code